বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূতই কি হামলার লক্ষ্য

  •    
  • ২২ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:৫১

চীনা রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অতীতে বেশ কয়েকবার অঞ্চলটিতে পাকিস্তান তালেবান ও বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর আক্রোশের শিকার হয়েছেন চীনা নাগরিকরা।

পাকিস্তানের কোয়েটায় অল্পের জন্য শক্তিশালী বোমা হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত নং রং।

বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী নগরীর একমাত্র অভিজাত হোটেলটিতে বুধবার রাতে হামলার কিছু আগেই চেক-ইন করেন তিনি।

একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নং রং হোটেলের বাইরে থাকা অবস্থায় হামলাটি হয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ।

স্থানীয় সময় বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বহুজাতিক হোটেল চেইন সেরেনার গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় হয় এ হামলা। নিহত হন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে চারজন। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন পাকিস্তান তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। যদিও হামলার কারণ জানায়নি।

চীনের রাষ্ট্রদূতসহ হোটেলটির সব অতিথিই নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

কুয়েটায় চার সদস্যের একটি চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আছেন নং রং। হামলার আগে তিনি প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী জাম কামালের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল্লাহ লাঙ্গো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পর নং রং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার কোয়েটা সফর শেষ করে পূর্বনির্ধারিত সময়েই ইসলামাবাদে ফিরবেন রাষ্ট্রদূত।

প্রশ্ন উঠেছে, নং রংকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা হয়েছে কি না।

সন্ত্রাসী হামলা ধরে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। জানিয়েছে, গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলাটি হয়েছে। আত্মঘাতী হামলা হয়েছে কি না, নিজস্ব তদন্তে তা জানার চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

চীনা রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলটিকে লক্ষ্য করে এ হামলা হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে অতীতে বেশ কয়েকবার অঞ্চলটিতে পাকিস্তান তালেবান ও বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর আক্রোশের শিকার হয়েছেন চীনা নাগরিকরা।

গ্যাসসহ নানা খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদসমৃদ্ধ বেলুচিস্তান পাকিস্তানের অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। অঞ্চলটিতে সক্রিয় সশস্ত্র বেশ কিছু সংগঠন।

বিশেষ করে সম্প্রতি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মাধ্যমে অঞ্চলটিতে চীনের বিনিয়োগ ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ আরও দানা বাঁধে। এতে বেলুচিস্তানের মানুষ কোনোভাবে উপকৃত হচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। সিপিইসির নানান প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ মানুষই ভিন্ন অঞ্চল বা দেশের বাসিন্দা।

সাড়ে ছয় হাজার কোটি ডলারের কর্মসূচি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প, যার অন্যতম অংশ এই সিপিইসি।

২০১৯ সালে সিপিইসির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে আরেকটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। আরব সাগরে চীনের সহজ প্রবেশ নিশ্চিতে বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে নির্মিত গভীর সমুদ্রবন্দরের শহর গদরে হয় ওই হামলা।

গত বছরের জুনে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আংশিক মালিকানার অন্তর্ভুক্ত পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জেও হামলা চালায় বেলুচ স্বাধীনতাকামীরা।

এ ছাড়া স্বাধীনতার দাবিতে বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট নামে আরও একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে অঞ্চলটিতে। আছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের তৎপরতাও।

এ বিভাগের আরো খবর