পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রক্তাক্ত বেলগাম আর করোনাভাইরাস মহামারি সংকটে বেসামাল হলেও পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট।
ভোট শুরুর পরপরই বিভিন্ন বুথে পোলিং এজেন্টকে বসতে বাধা দেয়ার অভিযোগে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
২৯৪ আসনবিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ষষ্ঠ দফায় ৪৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। এতে ৩০৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বেশির ভাগ কেন্দ্রেই চলছে তৃণমূল-বিজেপি মুখোমুখি লড়াই।
আগের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতিবারের ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সতর্ক কমিশন।
ষষ্ঠ দফার ভোটে আলোচনায় আছে ব্যারাকপুর। সে আসনকে স্পর্শকাতর হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ভোটের আগেই গুলি, বোমাবাজি, সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ব্যারাকপুর।
স্পর্শকাতর ব্যারাকপুরে অশান্তি মোকাবিলায় দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন। ওই কেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে ১০৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ব্যারাকপুরে বুথের সংখ্যা ৪২৫। এই কেন্দ্রের সব বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবেও ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার ভোট হচ্ছে উত্তর চব্বিশপরগনা, নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান ও গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলায়।
ষষ্ঠ দফার ভোটে তারকা প্রার্থী তালিকায় আছেন, ব্যারাকপুর কেন্দ্রে চলচ্চিত্র পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির মুকুল রায়, তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
হাবরা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিজেপির রাহুল সিনহা। দমদম উত্তরে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখযোগ্য।
১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফা ভোট গ্রহণ শেষে কলকাতাসংলগ্ন বিধাননগর, নদীয়ার চাকদহ, বর্ধমান শহরের বিভিন্ন অংশ, উত্তর চব্বিশপরগনার মিনাখাঁ বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুজন বিজেপি কর্মী খুন হওয়ারও অভিযোগ আসে সেদিন।
ষষ্ঠ দফায় মোট ১০ হাজার ৮৯৭ বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। কমিশন আর কেন্দ্রীয় বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সতর্ক রয়েছে বলে জানাচ্ছে।
আট ধাপে অনুষ্ঠিত বিধানসভার নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোট হবে ২৬ এপ্রিল। ২৯ এ্রপ্রিল হবে অষ্টম ধাপের ভোট গ্রহণ। ফল প্রকাশ করা হবে ২ মে।