বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানের সাংবাদিক আবসার আলম গুলিবিদ্ধ

  •    
  • ২১ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৪১

আবসার আলম বলেন, ‘আমার পাঁজরে গুলি করা হয়েছে। আমি আশাহত নই। যারা এ কাজ করেছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না।’

পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়া অথরিটির সাবেক চেয়ারম্যান আবসার আলমকে গুলি করা হয়েছে।

দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে বলে টুইটারে এক ভিডিওবার্তায় তিনি নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন।

ভিডিওতে আলম বলেন, ‘আমার পাঁজরে গুলি করা হয়েছে। আমি আশাহত নই। যারা এ কাজ করেছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, এভাবে আমাকে ভয় দেখানো যাবে না।’

পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিক আলমের ওপর হামলার বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বলেন, ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শককে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। আবসার আলমকে যারা গুলি করেছে, তারা আইনের হাত থেকে পালাতে পারবে না। তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আবসার আলমের ওপর হামলার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পাকিস্তানের সাংবাদিক মহল ও রাজনীতিকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধী মতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ ক্যানসারের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আবসার আলম এ ধরনের অপরাধের সাম্প্রতিক শিকার।

পাকিস্তান ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস (পিএফইউজে) ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।

পিএফইউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে ক্রমবর্ধমান অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের শিকার সাংবাদিক সম্প্রদায়। এ ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে বিদ্যমান অরাজকতার বিরুদ্ধে ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।

আবসার আলমের ওপর হামলাসহ পাকিস্তানের অন্য সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নানা ধরনের অপরাধের তদন্ত করতে জুডিশিয়াল কমিশন গঠনেরও দাবি জানায় পিএফইউজে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের রক্ষায় সংসদ সদস্যসহ রাজনীতিকদের সোচ্চার হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।

কাউন্সিল অব পাকিস্তান নিউজপেপার এডিটরসের (সিপিএনই) সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অন্তত ১০ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। আরও বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হুমকি, অপহরণ, নির্যাতন ও মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাংবাদিকদের হত্যা-নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর মাধ্যমে অপরাধীরা দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের রক্ষা ও তাদের ন্যায়বিচার দিতে আইনি ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে, যা খুবই উদ্বেগের।

এ বিভাগের আরো খবর