কিউবায় ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির (পিসিসি) ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেল।
ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রটির সবচেয়ে প্রভাবশালী এ পদটি গত ৬২ বছর ধরে ছিল কাস্ত্রো পরিবারের। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর এবারই প্রথম এ পদটিতে এমন কেউ এলেন, যার নামে নেই কাস্ত্রো শব্দটি।
স্থানীয় সময় সোমবার কিউবার পরবর্তী নেতা হিসেবে মিগুয়েল ডায়াজ-ক্যানেলের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে একই সঙ্গে দল ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালে রাউল কাস্ত্রোর পর কিউবার প্রেসিডেন্ট হন ডায়াজ-ক্যানেল। কাস্ত্রো সরকারের প্রতি বিশ্বস্ত ও তাদের সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বাসী বলে মনে করা হয় তাকে।
দলীয় চার দিনের সম্মেলনের প্রথম দিন শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন ৮৯ বছর বয়সী রাউল কাস্ত্রো। নতুন দলপ্রধানের নাম ঘোষণার আগে তিনি বলেছিলেন, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী তরুণ কোনো নেতার হাতে নেতৃত্ব হস্তান্তর করতে চান তিনি।
৬০ বছরের ডায়াজ-ক্যানেল বয়সে পূর্বসূরি রাউল কাস্ত্রোর চেয়ে প্রায় ৩০ বছরের ছোট। কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে কিউবার ক্ষমতা গেলেও ডায়াজ-ক্যানেলের হাত ধরে তাৎক্ষণিক কোনো রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের শঙ্কা নেই বলে মত বিশ্লেষকদের। নিরাপদ হাতেই দেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন বলে মনে করেন রাউল কাস্ত্রোও।
বড় ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর পর ২০১১ সালে পিসিসির ফার্স্ট সেক্রেটারি হন রাউল। ১৯৫৯ সালের বিপ্লবে স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাতের পর থেকেই দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন দুই ভাই।
ষাটের দশকের শুরু থেকে পঞ্চাশ বছর কিউবার নেতৃত্বে ছিলেন ফিদেল। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২০০৮ সালে ভাই রাউলকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন ফিদেল। ২০১৬ সালে তার মৃত্যুর পর থেকে পিসিসির প্রধান ছিলেন রাউল।