বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রিন্স ফিলিপ সমাহিত

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:৩৩

প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে গত ৯ এপ্রিল উইন্ডসর ক্যাসেলে মারা যান। ‘দয়া, মানবতা ও রসবোধসম্পন্ন’ এই ডিউককে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানায় রাজপরিবার।

ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপকে উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে সমাহিত করা হয়েছে।

প্রিন্স ফিলিপ ৯৯ বছর বয়সে গত ৯ এপ্রিল উইন্ডসর ক্যাসেলে মারা যান। ‘দয়া, মানবতা ও রসবোধসম্পন্ন’ এই ডিউককে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানায় রাজপরিবার।

করোনাভাইরাসের কারণে দূরত্ব রেখে জর্জেস চ্যাপেলে বসে ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

বিবিসি জানায়, করোনাবিধি মেনে মাস্ক পরে এবং প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে এ আনুষ্ঠানিকতার নেতৃত্ব দেন রানি নিজে। অতিথি ছিলেন মাত্র ৩০ জন। এদের বেশির ভাগই রাজপরিবারের সদস্য। আর ছিলেন প্রিন্স ফিলিপের জার্মান পরিবারের তিন সদস্য। তার মরদেহ সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়নি। তবে টেলিভিশনে পুরো অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।

প্রিন্স ফিলিপের কফিনের পেছন পেছন ধীর পদক্ষেপে হেঁটে যান তার চার ছেলে-মেয়ে যুবরাজ চালর্স, প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড ও প্রিন্স অ্যান্ড্রু। এর আগে এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন তারা। এতে যোগ দেয় পুরো দেশ। এ সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা এবং সব ধরনের ক্রীড়া অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল।

প্রিন্স ফিলিপের কফিনবাহী গাড়ির পেছন পেছন হেঁটে যান তার চার সন্তান

এরপর যুক্তরাজ্য ও জিব্রালটারের নয়টি স্থান থেকে বন্দুকের গুলি ছোড়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা।

শেষকৃত্যের শুরুতে ডিউকের মরদেহ উইণ্ডসর দুর্গের প্রাইভেট গির্জা থেকে দুর্গের রাষ্ট্রীয় প্রবেশপথে নিয়ে আসা হয়।

এর পর তার মরদেহ একটি জলপাই রঙের ল্যান্ড রোভারে করে উইণ্ডসর দুর্গের ভেতরেই সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল গির্জায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের বাইরের অনুষ্ঠানিকতায় ছিলেন ৭৩০ জনের বেশি সেনা।

দাদার শেষকৃত্যে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসেন প্রিন্স চার্লেসের ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। ছিলেন হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামও। তবে অনুষ্ঠানে তাদের পাশাপাশি দেখা যায়নি। রাজকীয় প্রথা অনুসারে দুই ভাইয়ের মাঝখানে ছিলেন ফুপাতো ভাই পিটার ফিলিপ। তবে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে যাওয়ার পর দুই ভাইকে কথা বলতে দেখা গেছে।

প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এ অনুষ্ঠনে যোগ দেননি। প্রিন্স হ্যারির যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হওয়া এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এ দম্পতির রাজপরিবারের সমালোচনার পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে দুই ভাইয়ের আচরণের ওপর গণমাধ্যমের বিশেষ দৃষ্টি ছিল।

অনুষ্ঠান শেষে পাশাপাশি চলে আসেন দুই ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি

জানা গেছে, মৃত্যুর আগে প্রিন্স ফিলিপ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা যেন ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হয়। সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে হয়েছেও তেমনই।

করোনা সতর্কতার কারণে সাধারণ মানুষকে উইন্ডসর ক্যাসেলের বাইরে সমবেত হতে নিষেধ করা হলেও অনুষ্ঠানের সময় সেখানে শুভাকাঙ্খীদের ভিড় জমে যায়।

শেষকৃত্যের আগে নিজের পছন্দের এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

এ বিভাগের আরো খবর