নির্বাচন কমিশনের বাহাত্তর ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই বুধবার শুরু হয়েছে ভোটের জোর প্রচার। শুরুতেই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত চার শহীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । তিনি বলেন, ‘শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্ত হবে। দোষীরা শাস্তি পাবে। নিহতদের পরিবার বিচার পাবে।’
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোট আগামী শনিবার ১৭ এপ্রিল। চতুর্থ দফার ভোটে নানা ঘটনায় ময়দান উত্তপ্ত হওয়ার পর বুধবার ফের প্রচারে নেমেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘মমতা দলিত বিরোধী। তিনি আনন্দ বর্মার মৃত্যু নিয়ে কিছু বলছেন না। একটা শব্দও খরচ করছেন না। তৃণমূল আশ্রিতরা আনন্দ বর্মাকে খুন করেছে।’
এদিকে ভোটারদের উদ্দেশে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘প্ররোচনায় পা দেবেন না। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিন।’ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি করছে।’
এদিন প্রথমবার রাজ্যে ভোট প্রচারে আসেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি একযোগে মমতা ও মোদিকে নিশানা করেন। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘লকডাউন জারি মোদির অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। দেশে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে, কেন্দ্র বা রাজ্য কেউ চিন্তিত নয়। মোদি দেশবাসীকে লাইনে দাঁড় করিয়েছে, নোট বাতিল, জিএসটিতে কোনো ফায়দা হয়নি মানুষের। মমতার আমলে বাংলার কোনো উন্নয়ন হয়নি, কোনো কর্মসংস্থান হয়নি। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে। আমি বাংলার ভবিষ্যত রক্ষা করতে এসেছি।’ অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘মমতার সবটাই নাটক।’
চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন নিহত হয়। ভারতের ইলেকশন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীর বাহাত্তর ঘণ্টা শীতলকুচিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়াও উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রচারে চব্বিশ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এসব কিছু পেরিয়ে পঞ্চম দফার ভোট প্রচারে প্রাণ ফিরেছে বুধবার।