বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া

  •    
  • ১১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:০৭

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চল ও প্রতিবেশী পূর্ব তিমুরে সাইক্লোনে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ক্ষত কাটার আগেই ভূমিকম্পের এ বিপর্যয়ের শিকার হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে আঘাত হেনেছে ছয় মাত্রার ভূমিকম্প। প্রাণ গেছে কমপক্ষে আটজনের। ভূমিকম্পের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১২শ বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরকারি কার্যালয়সহ আরও দেড়শ’ স্থাপনা।

শনিবার বিকেলে পূর্ব জাভার মালাঙ শহরের ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এর উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৫০ মাইল গভীরে।

ভূমিকম্পের প্রভাবে বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। সমুদ্র উপকূলে ভূমিকম্পটি হলেও সুনামির ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য জাতি জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন তিনি। তবে ভূমিকম্পের পরে কেউ নিখোঁজ হয়েছে বলে খবর মেলেনি।

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চল ও প্রতিবেশি পূর্ব তিমুরে সাইক্লোনে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ক্ষত কাটার আগেই ভূমিকম্পের এ বিপর্যয়ের শিকার হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

ভৌগোলিক কারণে বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ ইন্দোনেশিয়া। বিশেষ করে ভূগর্ভে টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষে ভূমিকম্পপ্রবণ ‘রিং অফ ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থান দেশটির।

২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুলাভেসি দ্বীপের পালুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এর প্রভাবে সুনামি বা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ যায় প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের।

এর আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশটির সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হানে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামি। স্মরণকালের ভয়াবহতম ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয় শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ভারত, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মালদ্বীপ, এমনকি সুদূর কেনিয়া, সোমালিয়া, তানজানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইয়েমেন আর অস্ট্রেলিয়াতেও।

প্রলয়ঙ্কারী ওই দুর্যোগে পুরো অঞ্চলে সোয়া দুই লাখ প্রাণহানি হয়। পৌনে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল শুধু উৎসস্থল ইন্দোনেশিয়াতেই।

এ বিভাগের আরো খবর