পাকিস্তানে নারী ও শিশুর ওপর যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার পেছনে ‘পশ্চিমা ও বলিউডের অশ্লীল সংস্কৃতি’ দায়ী বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন দেশটি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, অশ্লীলতা বাড়লে সমাজে যৌন অপরাধ বেড়ে যায়, পরিবার কাঠামো ভেঙে পড়ে।
উইমেন্স অ্যাকশন ফোরামসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইমরানের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে বলে বুধবার ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যের বিরোধিতা করে হিউম্যান রাইটস কমিশন অফ পাকিস্তান, ওয়ার অ্যাগেইন্সট রেইপ, পাকিস্তান বার কাউন্সিলস জার্নালিস্ট ডিফেন্স কমিটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সক্রিয়ভাবে ধর্ষণ সংস্কৃতির পক্ষালম্বন করেছেন। দেশে ধর্ষণের যত ঘটনা ঘটে, তার খুব সামান্যই জানা যায়; বলতে গেলে হিমশৈলের উপরিভাগ। তার (ইমরান) বক্তব্য অপরাধী ও ধর্ষকদের আশ্রয়প্রশ্রয় দেয়া ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না; বরং যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগীদের দিকেই আঙ্গুল তোলে। ধর্ষণ নিয়ে ইমরানের দৃষ্টিভঙ্গি তাদের মানসিকভাবে আরও দুর্বল করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কয়েক মাসের মেয়েশিশু ধর্ষণ, মাদরাসা ও এর বাইরে কিশোরদের যৌন নির্যাতন, পরিবারের স্বজনদের মাধ্যমে ঘরের ভেতরেই যৌন সহিংসতা- সমাজের এসব চিত্র প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়েনি। যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে বর্বরতা ও নেক্রোফিলিয়ার মতো ঘটনাও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টির আড়ালে চলে গেছে।
এতে বলা হয়, দুর্ভাগ্যবশত যৌন সহিংসতা ও ধর্ষণকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনেক বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। এর মাধ্যমে নারীরা আরও অনিরাপদ বোধ করবে।