বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু বৈঠক গঠনমূলক হয়েছে: ইরান

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৩২

ইরানকে নেতৃত্ব দেয়া দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘছি বৈঠক শেষে বলেন, ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিভিন্ন পথ নিয়ে দেশগুলো আলোচনা চালিয়ে যাবে। ভিয়েনায় আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। আমাদের পরবর্তী বৈঠক শুক্রবার।’

বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান।

অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার একটি হোটেলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেয় ইরান, চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা।

ইরানকে নেতৃত্ব দেয়া দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘছি বৈঠক শেষে বলেন, ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার বিভিন্ন পথ নিয়ে দেশগুলো আলোচনা চালিয়ে যাবে। ভিয়েনায় আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে। আমাদের পরবর্তী বৈঠক শুক্রবার।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ ইরানের এক বিলিয়ন ডলার অর্থ ছাড় অনিশ্চয়তায় পড়ে এমন কোনো শর্তে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধের যেকোনো চুক্তি বা প্রস্তাব আমরা প্রত্যাখ্যান করে যাব।’

ভিয়েনায় বৈঠকের আগে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাব দিয়েছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

বৈঠক শেষে রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল উলইয়েনভ টুইটবার্তায় আলোচনাকে ‘সফল’ হিসেবে অভিহিত করেন।

উলইয়েনভ বলেন, ‘এখনই পরমাণু চুক্তিতে ফেরা যাবে না। এর জন্য সময় লাগবে। কত দিন লাগবে, তা কেউ জানে না। তবে জয়েন্ট কমিশনের আজকের বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পরমাণু চুক্তিতে ফেরার লক্ষ্য অর্জনের পথে ব্যবহারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

ইরানের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ইরানের ওপর আরোপ করা কঠোর নিষেধাজ্ঞা যা এখনও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলবৎ রেখেছেন, সেসব প্রত্যাহার করা না হলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসবে না।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি রবার্ট মালে নেতৃত্বাধীন দল এ মুহূর্তে ভিয়েনায় অবস্থান করলেও ইরানের ওই শর্তের কারণে তারা বৈঠকে অংশ নেয়নি।

বৈঠক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রিন্স বলেন, ‘বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের বৈঠক আমাদের কাছে গঠনমূলক ও নিশ্চিতভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ মনে হয়েছে।’

২০১৫ সালে ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে জেসিপিওএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

২০১৮ সালের ৮ মে একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন ট্রাম্প। এরপর থেকে ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতির অংশ হিসেবে ইরানের ওপর একের পর এক অবরোধ আরোপ করতে থাকেন তিনি।

পরের বছর জেসিপিওএর মূল শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায় ইরান। এর অংশ হিসেবে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে থাকে দেশটি।

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন জানায়, ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে দেশটিকে অবশ্যই পরমাণু চুক্তি মেনে কাজ করতে হবে।

অন্যদিকে ইরানের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রকে আগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এরপর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণসহ অন্য সব কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে পেছাবে দেশটি।

গত মাসের শেষের দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলেছে, তা নিশ্চিত হলে ইরান তাৎক্ষণিক ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি হ্রাস করবে।

এ বিভাগের আরো খবর