বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জর্জ ফ্লয়েড হত্যা: পুলিশি নীতিমালা ভেঙেছেন শভিন

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২১ ১০:১৯

মিনেপোলিস পুলিশের প্রধান বলেন, পুলিশি প্রশিক্ষণ, নীতি ও মূল্যবোধের বাইরে গিয়ে ফ্লয়েডকে আটকেছিলেন শভিন। ফ্লয়েড বাধা দিলেও তাকে গ্রেপ্তারে বেছে নেয়া পথ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মিনেপোলিস পুলিশের প্রধান মেডারিয়া আরাডোন্ডো।

তিনি জানিয়েছেন, ফ্লয়েডকে গ্রেপ্তারের চেষ্টার সময় পুলিশের বলপ্রয়োগের নীতিমালা স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন অভিযুক্ত ডেরেক শভিন।

ফ্লয়েড হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ নামে গণবিক্ষোভের মুখে গত বছরের মে মাসে প্রধান অভিযুক্ত শভিনসহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে বাহিনী থেকে বহিষ্কার করেন আরাডোন্ডো।

হত্যা মামলায় বিচারাধীন শভিন তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয় সময় সোমবার ছিল শভিনের বিচার শুনানির ষষ্ঠ দিন।

এতে আরাডোন্ডো বলেন, পুলিশি প্রশিক্ষণ, নীতি ও মূল্যবোধের বাইরে গিয়ে ফ্লয়েডকে আটকেছিলেন শভিন। ফ্লয়েড বাধা দিলেও তাকে গ্রেপ্তারে বেছে নেয়া পথ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, বিশেষ করে যখন তিনি শারীরিকভাবে তীব্র কষ্ট পাচ্ছিলেন।

জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন। ছবি: এএফপি

ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আফ্রিকান-আমেরিকান ফ্লয়েডের ঘাড়ে নয় মিনিটের বেশি সময় হাঁটু দিয়ে জোরে চাপ দিয়ে রাখেন শ্বেতাঙ্গ শভিন। এক পর্যায়ে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে পড়লেও তাতে তোয়াক্কা ছিল না উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের।

এ প্রসঙ্গে আদালতে ফ্লয়েড পরিবারের পক্ষে আইনজীবীরা জানতে চান, এ ধরনের প্রশিক্ষণ পুলিশ বাহিনীতে দেয়া হয় কি না এবং প্রতিকূল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিভাগীয় নীতিমালা কী হতে পারে।

জবাবে আরাডোন্ডো বলেন, ফ্লয়েডের দিক থেকে যখন বাধা দেয়া বন্ধ হলো, তিনি যখন আর কথাও বলতে পারছিলেন না, এমনকি পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে পড়লেন, তখনও তার ওপর শক্তি প্রয়োগ বন্ধ করেননি শভিন। কোনো পুলিশ কর্মকর্তাকে কখনোই এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। এটি বিভাগীয় নীতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থি আচরণ।

জাল বিল সরবরাহের অভিযোগে কোনো সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও স্বাভাবিক নয় বলে জানান আরাডোন্ডো, যেমনটা হয়েছিল ফ্লয়েডের ক্ষেত্রে।

মিনেপোলিস পুলিশের প্রধান জানান, শক্তি প্রয়োগের চেয়ে আলোচনার মাধ্যমেই এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয় বেশি। প্রয়োজনে স্থানীয়দের সহযোগিতাও নেয়া হয়।

কমপক্ষে এক মাস চলবে শভিনের বিচার শুনানি। অপরাধ প্রমাণে সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে তার।

যুক্তরাষ্ট্রে হেফাজতে আসামিদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচার বেশ বিরল ঘটনা। ফলে ফ্লয়েড হত্যার বিচারকে দেশটির আইনি ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর