জর্ডানের সাবেক যুবরাজ প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আয়মান সাফাদি।
রোববার বিবিসির কাছে প্রিন্স হামজার পাঠানো দুইটি ভিডিও প্রকাশের পর তাকে ‘গৃহবন্দি রাখার’ কারণ ব্যাখ্যায় এ কথা বলেন সাফাদি।
উপপ্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পেত্রার খবরে বলা হয়, প্রিন্স হামজা বিবিসির কাছে পাঠানো ভিডিওর মাধ্যমে তথ্য বিকৃত এবং সহানুভূতি আদায় করতে চাইছেন।
রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে সাফাদি আরও বলেন,‘প্রিন্স হামজা বিদেশিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তার ওপর নজর রাখা হয়েছিল।
শনিবার ডিভিও বার্তায় প্রিন্স হামজা অভিযোগ করেন, তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
দেশটিতে সমালোচকদের দমনের অংশ হিসেবে তাকে গৃহবন্দি করা হয় বলে হামজা অভিযোগ করেন।
ভিডিও বার্তায় হামজা আরও জানান, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করার নির্দেশ দিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইনের সমালোচনা করায় দেশটির প্রশাসনে থাকা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে হয়রানি করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে সাবেক প্রিন্স হামজাকেও গৃহবন্দি করা হয়। হামজা বিন আল-হুসাইন বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইনের সৎ ভাই।
সেনাবাহিনীর কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্স হামজাসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা সেনা ‘অভ্যুত্থানচেষ্টায়’ জড়িত। এজন্য তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জর্ডানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জর্ডান ও রাজপরিবারের সুরক্ষার জন্য হামজাকে সতর্ক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে একজন সাবেক মন্ত্রী, রাজপরিবারের জুনিয়র সদস্য এবং সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করেছেন তারা।