সৌদি আরবের পবিত্র কাবা শরিফে উগ্রবাদী স্লোগান দেয়ার অভিযোগ এক অস্ত্রধারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে মসজিদটির নিরাপত্তা কর্মীরা। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় সৌদি পুলিশ
বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর ওই অস্ত্রধারীকে ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মসজিদটির দ্বিতীয় তলা থেকে ধরা হয় বলে জানাচ্ছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি অস্ত্র প্রদর্শন করার পাশাপাশি নানা উগ্র স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরে তাকে ধরা হয়।
তিনি ঠিক কী বলছিলে, সেটি উল্লেখ না করে আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অস্ত্রধারী বিভিন্ন উগ্রবাদী ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে কথা বলছিলেন।
তবে সেই ব্যক্তির পরিচয় এবং তিনি কোন উগ্রবাদী সংগঠনের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন, সে বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য আরব নিউজের সেই প্রতিবেদনে ছিল না।
এ ব্যাপারে মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক শেখ আব্দুল রহমান আল সুদাইস দ্য ন্যাশনালকে বলেন, যে কোনো ক্ষেত্রেই উগ্রবাদী মানসিকতা ইসলামের মূল্যবোধ পরিপন্থি। এই মসজিদ মহান আল্লাহ তা’লার প্রার্থনার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নামাজ, তাওয়াফ (কাবা শরিফ প্রদক্ষিণ) ও হজ হয় ওই ব্যক্তি এই পবিত্র স্থানের মর্যাদা রক্ষা করতে পারেননি।
গত অক্টোবরে কাবা শরিফের প্রবেশপথে চলন্ত গাড়ি উঠিয়ে দেন এক সৌদি নাগরিক। নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ধাওয়া করে আটকও করে। পরে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন বলে জানায় মক্কা কর্তৃপক্ষ।
২০১৭ সালের জুনে কাবা শরিফে হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয় সৌদি প্রশাসন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে সময় মক্কার দুটি এলাকাসহ জেদ্দাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে এবং গোয়েন্দা অভিযান চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় কাবা শরিফের কাছে আজইয়াদ আল-মাসাফি এলাকায় তিনতলা একটি ভবনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে গোলাগুলির সময় আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হন এক ব্যক্তি।
বিস্ফোরণে ধসে পড়েছিল ভবনটি। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাঁচ সদস্য ও ছয়জন বিদেশিসহ ১১ জন আহত হন। গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীসহ পাঁচজনকে।