দুই ট্রিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও ধনী-দরিদ্র বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এ পরিকল্পনা তার।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশকে পুনর্গঠনের চেষ্টা হিসেবে বাইডেন এ সিদ্ধান্ত নিলেও পার্লামেন্টে বিরোধিতার মুখে পড়বে এ পরিকল্পনা। রিপাবলিকানদের পাশাপাশি নিজ দল ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতাদেরও বাধার মুখে পড়তে পারেন তিনি।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে পিটসবার্গে এক ভাষণে পরিকল্পনার বিস্তারিত প্রকাশ করবেন বাইডেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, সড়ক-মহাসড়ক-সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতকে শক্তিশালী করা, উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা, সবার জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করা ইত্যাদি পরিকল্পনা রয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুবিধা জোরদার, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি ও দক্ষ লোকবলের জন্য প্রশিক্ষণ, গবেষণা ইত্যাদি খাতেও যাবে এ অর্থ।
করপোরেট ট্যাক্স বৃদ্ধিরও পরিকল্পনা রয়েছে বাইডেনের। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে পরিচালিত বহুজাতিক করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি কর দিতে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। ২১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার আহ্বান জানাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২১ শতাংশ করেছিলেন।
বাইডেনের সহযোগীরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসেবা, শিশুকল্যাণ ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে আগামী মাসে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন তিনি। এতে প্রয়োজনীয় অর্থের একটি অংশ আসবে দেশের শীর্ষ করদাতাদের কাছ থেকে।
অবশ্য বার্ষিক চার লাখ ডলারের কম আয় করা ব্যক্তিদের কর বাড়বে না বলেও আশ্বাস দিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
পরিকল্পনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বাইডেনের নিজ দলেই। কর বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেবেন না বলে জানিয়েছেন অনেকে। এ অবস্থা্য় পার্লামেন্টে কঠোর বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাইডেনের ঘনিষ্ঠ আইনপ্রণেতারা।