ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে আলোচিত আসন নন্দীগ্রামে মঙ্গলবার প্রচার শেষ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আসনে ভোট শুরুর আগে ঘটনাবহুল দিনটিতে মিত্র থেকে শত্রু বনে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি বাক্যবাণ ছুড়েছেন মমতা। শুভেন্দুও জবাব দিয়েছেন মমতাকে।
এসবের বাইরেও বাড়তি নজর কেড়েছে মমতার একটি আচরণ। প্রচারকালে জাতীয় সংগীত বাজার সময় আহত পা নিয়েই হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন পায়ে আঘাত পাওয়া মমতা রাজ্যে হুইলচেয়ারে প্রচারকালে আহত হওয়ার বিষয়টি বারবার সামনে এনেছেন। প্রতিটি সমাবেশে তিনি বলেছেন, বিজেপির শাসনে দেশের যে অবস্থা হয়েছে, সে তুলনায় তার পায়ের ব্যথা কিছুই নয়।
নির্বাচনি প্রচারের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনেকবার মাথায় আঘাত পেয়েছি। আমি বহুবার কোমরে আঘাত পেয়েছি। সব আঘাত থেকেই সেরে উঠেছি।
‘আমি ব্যথা নিয়ে পড়ে থাকলে বিজেপি জনগণের ব্যথার কারণ হবে। আমি মনে করি আমার ব্যথার চেয়ে জনগণের ব্যথা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে আট ধাপের ভোট শুরু হয় গত শনিবার। রাজ্যের ২৯৪ আসনের বিধানসভার ৩০ আসনে হবে দ্বিতীয় দফার ভোট।
প্রথম দফাতেও ভোট হয়েছে ৩০টি আসনে। দ্বিতীয় ধাপে রাজ্যটিতে প্রার্থী ১৯ নারীসহ ১৭১ জন।
নিজের পরিচিত আসন কলকাতার ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা নিজে চার দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন নন্দীগ্রামে। প্রচারের শেষ দিন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামের মানুষ গাদ্দারদের ক্ষমা করবে না।’
পাল্টা জবাবে শুভেন্দু বলেন, মমতাকে অন্তত ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন।
বিজেপির হেভিওয়েট নেতারাও প্রচারে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন নন্দীগ্রামকে।
এ লড়াইয়ে জিতছেন কে, তা জানা যাবে আগামী ২ মে।