বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গুলিতে মানুষ মরে, সেনারা পার্টি করে

  •    
  • ২৯ মার্চ, ২০২১ ০৯:৪২

পুলিশের গুলিতে শনিবার শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। তবে এসবের ধার ধারছে না দেশটির জান্তা সরকার। শনিবার রাতে পার্টিতে মেতে ওঠেন জেনারেলরা।

মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক প্রাণহানির মধ্যেই সশস্ত্র বাহিনী দিবস ঘিরে পার্টি করেছেন দেশটির সেনা কর্মকর্তারা।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে সেই পার্টির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

ছবিতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংসহ অন্য সামরিক কর্মকর্তারা সাদাপোশাক আর বো টাই পরে পার্টিতে অংশ নিয়েছেন। লালগালিচায় হাসিমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। রাতের খাবারেও ছিল বিলাসিতার ছাপ।

প্রতিক্রিয়া

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারের মানবাধিকারকর্মী মুয়াং জারনি। অনেকে আবার পার্টির ছবির পাশে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যক্তিদের ছবিও পোস্ট করেছেন।

প্রতিক্রিয়া এসেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকেও। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ১২ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।

মিয়ানমার থেকে ব্রিটিশ নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির ফরেইন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) জানিয়েছে, ২৭ মার্চের পর পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে তারা।

কী ঘটছে মিয়ানমারে

শনিবারের বিক্ষোভে নিহত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য হয়েছে রোববার। এই আয়োজনেও সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বাগো শহরে ২০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর শেষকৃত্যে নিরাপত্তা বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে।

শেষকৃত্যে অংশ নেয়া এক নারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা যখন মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে বিপ্লবের গান গাইছিলাম, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর একটি টহল গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে। তারা গাড়ি থেকে নেমে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে।’

ইয়াঙ্গুন কিংবা মান্দালয়ের মতো শহরগুলোতে রোববার বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়নি। তবে বেশ কিছু সমাবেশ হয়েছে কাথা ও হিসিপাও শহরে।

স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, রোববার কমপক্ষে ১২ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে।

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী অব্যাহত বিক্ষোভে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয় বলে জানায় এএপিপি। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা শতাধিক। এদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও রয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সুচিসহ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই সংকটে আছে দেশটি।

অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা এএপিপি। অবশ্য ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে চলতি সপ্তাহে ছয় শতাধিক বিক্ষোভকারী ছাড়া পেয়েছেন।

প্রায় দুই মাস ধরে চলা বিক্ষোভে নিহত হয়েছে চার শতাধিক মানুষ।

এ বিভাগের আরো খবর