বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এভার গিভেনের ওজন কমাতে কন্টেইনার নামানোর নির্দেশ

  •    
  • ২৮ মার্চ, ২০২১ ২০:১৬

সুয়েজ খালে অচলাবস্থার কারণে ভূমধ্যসাগরে সেইড বন্দর, লোহিত সাগরে সুয়েজ বন্দর ও মিসরের গ্রেট বিটার লেকে শনিবার পর্যন্ত আটকা পড়েছে ৩২১টি জাহাজ। সময়ের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে জাহাজের জট।

সুয়েজ খাল আটকে দাঁড়িয়ে থাকা এভার গিভেন জাহাজের ওজন কমাতে কন্টেইনার নামানোর নির্দেশ দিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। স্থানীয় সময় রোববার দুপুরে এ নির্দেশ দেন তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় দিনের প্রচেষ্টায় ২ লাখ ২০ হাজার টন ওজনের জাহাজটিকে সরানো যায়নি। সবশেষ শনিবার পানির স্রোত বাড়িয়ে তীরে আটকে থাকা জাহাজটিকে ঘোরানোর প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়।

৪০০ মিটার লম্বা ও ৫৯ মিটার চওড়া এভার গিভেন ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ২০ হাজার কন্টেইনার এক সঙ্গে বহনে সক্ষম।

গত মঙ্গলবার থেকে আফ্রিকা ও সিনাই উপদ্বীপের মধ্যকার সরু নৌপথ সুয়েজ খালের দুই তীর আটকে দাঁড়িয়েছে আছে এভার গিভেন। জাহাজটির মুখ ঘোরাতে চেষ্টা করছে ১৪টি টাগবোট। মাটি খুঁড়ে তীর থেকে ২০ হাজার টন বালি সরিয়ে জাহাজের রাডার ও প্রপেলার ছোটানোও হয়েছে।

তীরে জাহাজটি আটকে যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে বাতাসের তীব্রতাকে দায়ী করা হলেও মূল কারণ এটি নয় বলে জানিয়েছেন সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের প্রধান ওসামা রাবি । তিনি বলেন, ‘সম্ভবত কারিগরি ত্রুটি বা জাহাজ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কোনো ব্যক্তির ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। অনুসন্ধানে সবটাই বেরিয়ে আসবে ‘

আলজাজিরা জানিয়েছে, অচলাবস্থার কারণে ভূমধ্যসাগরে সেইড বন্দর, লোহিত সাগরে সুয়েজ বন্দর ও মিসরের গ্রেট বিটার লেকে শনিবার পর্যন্ত আটকা পড়েছে ৩২১টি জাহাজ। সময়ের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে জাহাজের জট। আফ্রিকা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করেছে কিছু জাহাজ।

জাপানের শোয়েই কিসেন মালিকানাধীন এবং তাইওয়ানের এভারগ্রিন মেরিন পরিচালিত জাহাজ এভার গিভেনে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। পর্যাপ্ত পানি পেলেই জাহাজটি চলতে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সমুদ্রপথে বিশ্ববাণিজ্যের ১২ শতাংশ পণ্য ১২০ মাইল দীর্ঘ এ খালের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে পৌঁছায়। ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে সংযুক্ত করা খালটি এশিয়া ও ইউরোপের সংক্ষিপ্ততম সমুদ্রপথ। বিকল্প পথ হিসেবে আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্তের কেপ অফ গুড হোপ ঘুরে যেতে ২ সপ্তাহ বেশি সময় লাগে।

খালটি বন্ধ থাকায় প্রতি ঘণ্টায় ৪০ কোটি ডলারের পণ্য আটকা পড়ছে, এক সপ্তাহে যা ৯৬০ কোটি ডলারের বেশি। দিনে প্রায় দেড় কোটি ডলার ক্ষতি গুনতে হচ্ছে মিসরকে। ভঙ্গুর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ৮০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ২০১৫ সালের আগস্টে নতুন সুয়েজ খাল চালু করে দেশটি।

এ অবস্থায় খালপথ পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে এভার গিভেনকে সরাতে মিসরকে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশ।

আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মিসরের সুয়েজ খালের বিকল্প হিসেবে ইরান হয়ে যাওয়া একটি সমুদ্রপথ চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত।

ইরান হয়ে ভারত ও রাশিয়াকে সমুদ্রপথে যুক্ত করা এই উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় বাণিজ্যিক করিডোরের কথা কয়েক বছর ধরেই বলে আসছে তেহরান। তাদের দাবি, এ পথে সুয়েজ খালের চেয়েও সংক্ষিপ্ত পথে পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব।

এ বিভাগের আরো খবর