অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ও বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা বাদ দিলে নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে ভারতের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট।
ভোটগ্রহণ সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়; করোনা মহামারির কারণে সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে ভোট চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
শনিবারের ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি আসনে বিধায়ক নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। অসমে ১২৬ সদস্যের বিধানসভার ৪৭টি আসনে ভোট হয়েছে এদিন। ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭২ শতাংশের কিছু বেশি।
অসমে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা ছিল সকাল থেকেই। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। অশান্তির অভিযোগ করেছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের পাঁচ জেলার ৩০টি কেন্দ্রে এদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৭৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। বড় ধরনের কোনো অশান্তির খবর নেই।
মহামারিকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাররা ভোট দেন। মোতায়েন ছিল আধা সামরিক বাহিনী। কয়েক জায়গায় আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে।
সিপিএম প্রার্থী ও রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ, তাকে লাঞ্ছিত করেছে তৃণমূল সমর্থকরা। তার এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারির ভাই সৌমেন্দুর গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেছে বিজেপি। গাড়ির চালক জখম বলে জানা গেছে।
শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে রাজ্য নির্বাচনি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাতও করেন তারা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জঙ্গলমহলে এবার বিজেপিই জিতবে। শুধু প্রথম দফাতেই নয়, রাজ্যে সরকার গঠনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।’
তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে জেতাতে অতি তৎপর নরেন্দ্র মোদির সরকার। দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ মনে করেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।
অসমে মূল লড়াই কংগ্রেসের মহাজোটের সঙ্গে বিজেপির মিত্রজোটের। উভয় জোটের নেতাদেরই দাবি, তারাই জিতছেন।
তবে কে জিতছেন, তা জানা যাবে ২ মে। সেদিনই ভোট গণনা। ততোদিন পর্যন্ত চলবে জল্পনা।