বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে বিক্ষোভে গুলি, একদিনে নিহত ৮৯

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২১ ২০:১৭

বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে শুক্রবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কঠোর বার্তা প্রচার করে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘এই নির্মম ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত যে আপনারাও বিপদে পড়তে পারেন, মাথায় পিঠে গুলি খেতে পারেন।’

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী অব্যাহত বিক্ষোভে শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। জানিয়েছে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি)।

১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার পর একদিনে এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনা। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী।

আলজাজিরা জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ম্যান্ডেলে শহরে। সেখানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯ জন। দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে প্রাণ গেছে অন্তত ২৪ জনের।

সবমিলিয়ে প্রায় দুই মাসের বিক্ষোভে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৪০০ ছুঁইছুঁই।

বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ার করে শুক্রবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কঠোর বার্তা প্রচার করে সেনাবাহিনী। এতে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, ‘এই নির্মম ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত যে আপনারাও বিপদে পড়তে পারেন, মাথায় পিঠে গুলি খেতে পারেন।’

তবে এ সতর্কবার্তা বিক্ষোভকারীদের দেখলেই গুলি ও হত্যার নির্দেশ কিনা, তা নিশ্চিত করা হয়নি।

ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে গঠিত সেনাবাহিনী-বিরোধী সংগঠন সিপিআরএইচের মুখপাত্র ড. সাসা একটি অনলাইন ফোরামে বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য আজকের দিনটি লজ্জাজনক। শত শত মানুষকে হত্যা করে তারা নির্লজ্জভাবে সশস্ত্র দিবস উদযাপন করছে।

শনিবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেইপিদোতে সামরিক কুচকাওয়াজে ভাষণ দেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। আবারও নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও কোনো নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি তিনি।

১৯৪৫ সালের ২৭ মার্চ জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে মিয়ানমারের জনগণ। সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বাবা ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা অং সান নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই আন্দোলনে।

প্রতি বছর এ দিনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করে মিয়ানমার।

রয়টার্স জানিয়েছে, এবারের এই দিবসের আয়োজনে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন ছাড়া কোনো বিদেশি কূটনীতিক অংশ নেননি। বেশিরভাগ সশস্ত্র নৃগোষ্ঠীও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা অং সান সুচিসহ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এর পর থেকেই সংকটে আছে দেশটি।

অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বিক্ষোভকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন, জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা এএপিপি। অবশ্য ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে চলতি সপ্তাহে ছয় শতাধিক বিক্ষোভকারী ছাড়া পেয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর