পাঁচ আইনপ্রণেতাসহ নয়জন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। তাদের বিরুদ্ধে উইঘুর ইস্যুতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।
বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্ত নয়জনই চীনা সরকারের কট্টর সমালোচক।
জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সোমবার চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাজ্য। প্রতিশোধ নিতেই ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নিল বেইজিং।
নিষিদ্ধ ঘোষিতরা হলেন- যুক্তরাজ্যের সাবেক কনজারভেটিভ নেতা ডানকান স্মিথ, এমপি নুসরাত ঘানি ও টিম লোফটন, তাদের দুই সহযোগী ব্যারোনেস কেনেডি ও লর্ড আল্টন, এমপি টম টুজেনডাত ও নিল ও’ব্রায়ান, আইনজীবী জেওফ্রি নাইস এবং শিক্ষাবিদ জো স্মিথ ফিনলে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত বর্তমান ও সাবেক এমপির প্রত্যেকেই হয় ব্রিটিশ সরকারের চীন বিষয়ক আন্তঃসংসদীয় জোটের সদস্য, না হয় চীন বিষয়ক গবেষণা দলের প্রধান। আর আইনজীবী জেওফ্রি নাইস ও শিক্ষাবিদ জো স্মিথ ফিনলে উইঘুর নির্যাতনের ওপর পৃথকভাবে অনুসন্ধান ও গবেষণা চালাচ্ছেন।
নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা চীন ও চীনশাসিত হংকং ও ম্যাকাওয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না; চীনে তাদের কোনো সম্পত্তি থাকলে তা জব্দ করা হবে এবং চীনের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না।
এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘মর্যাদার প্রতীক’ আখ্যা দিয়েছেন ডানকান স্মিথ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যারা আইনের শাসনের মধ্যে বাস করছি, তাদের অবশ্যই নিপীড়িত মানুষের হয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। এতে যদি চীন ক্ষুব্ধ হয়, তা হলে সেই ক্ষোভ আমার অহংকার।’
শুধু যুক্তরাজ্যই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও একই রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন।
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াংয়ে লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখে নির্যাতন, যৌন হয়রানিসহ নানা কায়দায় নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে চীনা সরকারের দাবি, সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে উইঘুরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা।