প্রচার শেষ। শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও অসম রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ২৯৪ টি কেন্দ্রে ভোট হবে। মূল লড়াই শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। অসমে ভোট হচ্ছে তিন দফায় ১২৬ কেন্দ্রে। সেখানে লড়াই শাসক বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস জোটের।
পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহল বলে পরিচিত আদিবাসী অধ্যুষিত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝারগ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে শনিবার।
সবকটি কেন্দ্রই এক সময় বামদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১১ ও ২০১৬ সালে বামদুর্গের পতন ঘটিয়ে জয়লাভ করে তৃণমূল। এবার আবার প্রভাব বেড়েছে বিজেপির।
প্রথম দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১৯১ জন। তাদের মধ্যে নারী ২১ জন। ভোট প্রচারে হেভিওয়েট নেতারা সব পক্ষের হয়েই মাঠে নামেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি একাধিক সভা করেন।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির স্লোগান, আসল পরিবর্তনের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়বে তারা। তৃণমূল বলছে, খেলা হবে। মোদিকে মিথ্যুক বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা।
অসমের ১২৬টির মধ্যে ৪৭টি আসনে ভোট হবে শনিবার। রাজ্যের ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ৮১ লাখ ৯ হাজার ৮১৫ জন প্রথম দফায় ভোট দেবেন।
অসমে ভোটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নীরব বিজেপি। আর কংগ্রেস বলছে, অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাগরিকত্ব দেয়ার আইন সংশোধন তারা মানবে না।
সব মিলিয়ে জমজমাট ভোটের প্রস্তুতি। সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ভোটিং মেশিনে ভোট হবে। ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রচারে নেমেছে কমিশনও।
কোভিড পরিস্থিতিতে বিহারে ভোট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। পশ্চিমবঙ্গেও সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোভিড প্রোটোকল মেনেই ভোট করতে চান তারা।
ভারতের ৫ রাজ্যের বিধানসভার ভোট গণনা ২ মে। ভোটডের পর সব মেশিনই রাখা থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বিভিন্ন স্ট্রং রুমে।