বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পৃথিবী থেকে একটা এশীয় তো কমলো!’

  •    
  • ২৫ মার্চ, ২০২১ ২০:৪০

যুক্তরাষ্ট্রে ২১ বছরের এক শ্বেতাঙ্গ যুবকের হামলায় আটজন মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর এমন চিঠিতে আরও প্রকট হলো জাতিবিদ্বেষের শেকড়।

বাবার মৃত্যুতে আগেই শোকগ্রস্ত ছিলেন সন্তানরা। এর সঙ্গে যখন যুক্ত হলো উড়ো চিঠিতে বর্ণবাদী তাচ্ছিল্য- যেখানে ছাড় দেয়া হয়নি মৃত বাবাকেও, তখন ক্ষোভের চেয়ে বিস্ময়টাই ছিল বেশি।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাড় ও অস্থিসন্ধির যক্ষ্মায় ভুগে মৃত্যু হয় ৮৩ বছর বয়সী কোরীয় বংশোদ্ভূত বিয়ং চোইয়ের। করোনাকালীন বিধিনিষেধের কারণে তার শেষকৃত্য হয় মৃত্যুর প্রায় এক মাস পর, গত ১৯ মার্চ।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, স্বজন হারানোর ক্ষতের সঙ্গে জাতিবিদ্বেষের যন্ত্রণাও বহন করছে চোইয়ের পরিবার।

লিজার ওয়ার্ল্ড সিল বিচ নামের প্রবীণ নিবাসে থাকতেন বিয়ং ও তার ৮২ বছর বয়সী স্ত্রী ইয়ং। স্বামীর শেষকৃত্যের তিনদিন পর হাতে লেখা একটি উড়ো চিঠি পান তিনি। বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে এসে পাওয়া চিঠিটি ছিল শাপ-শাপান্তে ভর্তি!

চিঠিতে লেখা ছিল, ‘বিয়ং চলে গিয়ে এই লিজার ওয়ার্ল্ডে একটা এশীয় মানুষ কমিয়ে দিল। তোমরা বিরক্তিকর এশীয়গুলো তো আমাদের দেশটাই দখল করতে বসেছ!’

চিঠির ওপরে তারিখটি শেষকৃত্যের দিনের। অর্থাৎ সেদিনই পোস্ট করা হয়েছিল সেটি।

যুক্তরাষ্ট্রে ২১ বছরের এক শ্বেতাঙ্গ যুবকের হামলায় আটজন মারা যাওয়ার কয়েকদিন পর এমন চিঠিতে আরও প্রকট হলো জাতিবিদ্বেষের শেকড়ের বিষয়টি। ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয়জনই ছিলেন এশীয়; যা নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এশীয় আমেরিকানদের।

বিয়ং চোইয়ের এক মেয়ে ক্লডিয়া চোই বলেন, ‘জাতিবিদ্বেষের বিষে ভরা যাদের মন, তারা আমার বাবার মৃত্যুকে উদযাপনের জন্য বেছে নিয়েছেন। তার শেষকৃত্যের দিন আমার মাকে এরকম একটা চিঠি পাঠিয়েছেন। এই নিষ্ঠুরতার কোনো ব্যাখ্যা হয় না।’

ক্লডিয়া চোইয়ের বিশ্বাস, প্রবীণ নিবাসেরই অন্য কোনো সদস্য চিঠিটি পাঠিয়েছেন। তিনি জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে ছিলেন তার বাবা-মা। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা শ্বেতাঙ্গ হলেও বেশ জনপ্রিয়ই ছিলেন চোই দম্পতি।

মহামারির এক বছরে এশীয় আমেরিকানদের প্রতি বিদ্বেষ নতুন মাত্রা নিয়েছে বলে মনে করেন ক্লডিয়া। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যখন তার ভাষণে করোনাভাইরাসের আমদানি চীন থেকে হয়েছে বলেছিলেন, চীনা ভাইরাস, কুং ফ্লু- এমন নানা শব্দ ব্যবহার করেছিলেন- তখন থেকেই জাতিবিদ্বেষ বেড়েছে।’

লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি পোস্ট অফিস থেকে পাঠানো চিঠিটিকে ‘অ্যান্টি-এশিয়ান হেইট ক্রাইম’ হিসেবে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিল বিচ পুলিশ।

গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে হেইট ক্রাইম বাড়ছে। বিশেষ করে জাতিবিদ্বেষের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন এশীয় বংশোদ্ভূতরাই।

এ বিভাগের আরো খবর