পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে ভারত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিবেশী দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে মঙ্গলবার পাঠানো চিঠিতে তিনি এ আকাঙ্ক্ষার কথা জানান।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে চিঠিতে ইমরানকে অভিনন্দন জানান মোদি।
১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ ব্রিটিশ শাসনামলে লাহোর প্রস্তাব পাস হয়। সে প্রস্তাবে ভারত উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের জন্য স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশের কথা বলেন মুসলমান রাজনীতিকরা। ওই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর ২৩ মার্চকে ‘পাকিস্তান দিবস’ হিসেবে পালন করে দেশটির জনগণ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে মোদির চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে মোদি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের আশা রাখে ভারত। এর জন্য আস্থা এবং সন্ত্রাস ও শত্রুতাবর্জিত পরিবেশ অপরিহার্য।’
মোদির চিঠিকে স্বাগত জানিয়ে একে ‘মঙ্গল বার্তা’ হিসেবে টুইটে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আসাদ উমর।
সম্প্রতি ভারত নিয়ে পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তার ইতিবাচক মন্তব্যের পরই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন মোদি।
পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি বর্তমানে অভিন্ন সিন্ধু নদের পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনায় রয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান। তবে সে ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ ভারতকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও শান্তি আলোচনার আহ্বান জানান পাকিস্তানের অত্যন্ত প্রভাবশালী সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, অতীত ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। তবে আমাদের প্রতিবেশীকে (ভারত) এর জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি জরুরি।’
কয়েক মাস ধরে কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এ ধরনের উত্তেজনা বন্ধে সম্প্রতি ব্যবস্থা নেয় দেশ দুটি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সেনাবাহিনী গোলাগুলি বন্ধে যৌথ বিবৃতি দেয়। এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।