চীনের শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুরদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর অবরোধ আরোপ করেছে পশ্চিমা বেশ কিছু দেশ।
সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইউরোপের ২৭ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এ অবরোধ দিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
শিনজিয়াংয়ে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর অনেককে ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে চীন। সে ক্যাম্পগুলোতে নির্যাতন, জোরপূর্বক কাজ করানো ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন উইঘুররা।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে চীন। দেশটির দাবি, ক্যাম্পগুলো মূলত পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র, যেগুলোকে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অবরোধ আরোপকারী রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, উইঘুরদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা ‘সবচেয়ে মৌলিক মানবাধিকারগুলোর ভয়াবহ লঙ্ঘনের’ শামিল।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপের কর্মকর্তাদের ওপর পাল্টা অবরোধ আরোপ করেছে চীন।
তিন দশক পর মানবাধিকার নিয়ে ইইউর অবরোধ
১৯৮৯ সালে চীনের তিয়ানআনমেন চত্বরে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছিল চীনের সেনারা। সে ঘটনায় চীনের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইইউ। এর তিন দশক পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ফের পূর্ব এশিয়ার পরাক্রমশালী দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করল জোট।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় কারা
উইঘুর মুসলমানদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা শিনজিয়াংয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অবরোধে পড়েছেন। তাদের ওপর পশ্চিমা দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই সব দেশে থাকা তাদের সম্পত্তি জব্দের কথা বলা হয়েছে।
অবরোধে পড়া কর্মকর্তারা হলেন শিনজিয়াংয়ের স্থানীয় পুলিশ বাহিনী শিনজিয়াং পাবলিক ব্যুরোর পরিচালক চেন মিংগু, শিনজিয়াং কমিউনিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ওয়াং মিংশান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অর্থনৈতিক ও আধা সামরিক সংস্থা শিনজিয়াং প্রোডাকশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন করপসের (এক্সপিসিসি) কর্মকর্তা ওয়াং জুনঝেং, শিনজিয়াং কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক উপপ্রধান ঝু হাইলুন।
ওই কর্মকর্তারা উইঘুরদের ক্যাম্পগুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে দাবি অবরোধকারী দেশগুলোর।