নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাজির হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
তার উপদেষ্টা জ্যাসন মিলার স্থানীয় সময় রোববার ফক্স নিউজকে এ তথ্য জানান বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি, সম্ভবত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ট্রাম্পকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা ফের দেখতে যাচ্ছি। নিজস্ব প্ল্যাটফর্মেই তাকে দেখা যাবে, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোন প্ল্যাটফর্মটি ট্রাম্প ব্যবহার করতে যাচ্ছেন মিলারকে সে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সঠিক জানি না।’
ট্রাম্পের নতুন প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি মিলার। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প কী করবেন, তা দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।’
মিলার বলেন, ফ্লোরিডায় নিজ মালিকানাধীন মার-এ-লাগো রিসোর্টে এরই মধ্যে বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে ট্রাম্পের। সাবেক প্রেসিডেন্টকে বেশ কয়েকটি কোম্পানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে।
নতুন প্ল্যাটফর্ম অনেক বিস্তৃত এবং এতে লাখ লাখ মানুষকে ট্রাম্প ফলোয়ার করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিলার।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষেক হওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে প্রাণঘাতী হামলা চালায় ট্রাম্পের সমর্থকেরা। ওই সময় সেখানে নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি দিতে যৌথ অধিবেশন চলছিল।
ক্যাপিটল ভবন হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ বাইডেনের জয়ের স্বীকৃতি ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করে নিজের সমর্থকদের ক্যাপিটল হিলে হামলায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। সে সময় টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আরও সহিংসতা প্ররোচনার ঝুঁকি এড়াতে অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হলো।
প্রচলিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে টুইটার ব্যবহার করে আসছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে প্রায় ৯ কোটি ফলোয়ার ছিল ট্রাম্পের।