বিশ্বে সামরিক শক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন। সামরিক শক্তিতে ভারত রয়েছে চার নম্বরে।
রোববার আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট মিলিটারি ডাইরেক্টে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বিশাল সামরিক বাজেট সত্ত্বেও ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া, ৬১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারত এবং ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। যুক্তরাজ্য শীর্ষ দশে স্থান পেলেও ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে নবম স্থানে।’
সমীক্ষায় স্থান নির্ণায়ক ১০০ পয়েন্টের মধ্যে চীন পেয়েছে ৮২ পয়েন্ট।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাজেট, নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় সামরিক কর্মীদের সংখ্যা, মোট বায়ু, সমুদ্র, স্থলসেনা ও পারমাণবিক সংস্থান, গড় বেতন এবং সরঞ্জামাদির ওজনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনার পরে ‘চূড়ান্ত সামরিক শক্তি সূচক’ নির্ণয় করা হয়েছিল।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ‘বাজেট, সেনাসংখ্যা, বিমান এবং নৌবাহিনীর ক্ষমতার মতো বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে দেয়া নির্দিষ্ট পয়েন্ট বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায় যে একটি সম্ভাব্য বিশ্বযুদ্ধে চীন সর্বোচ্চ শক্তিধর হিসেবে এগিয়ে থাকবে।’
সামরিক খাতে ব্যয়ের প্রশ্নে ভারতের স্থান যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের পরেই, তৃতীয় স্থানে।
তবে সামগ্রিকভাবে চীন বিশ্বের প্রথম সামরিক শক্তি হলেও প্রতি বছর ৭৩২ বিলিয়ন ডলার বাজেটের সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক ব্যয়কারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
২৬১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে সামরিক খাতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। ভারতের সামরিক বাজেট ৭১ বিলিয়ন ডলার।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী একটি সম্ভাব্য বিশ্বযুদ্ধে ‘চীন সমুদ্রপথে, যুক্তরাষ্ট্র আকাশসীমা এবং রাশিয়া স্থলযুদ্ধে এগিয়ে থাকবে।’সমীক্ষায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আকাশপথে যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে মোট ১৪ হাজার ১৪১ যুদ্ধ বিমান, রাশিয়ার রয়েছে ৪ হাজার ৬৮২ এবং চীনের রয়েছে ৩ হাজার ৫৮৭ টি যুদ্ধবিমান।
অন্যদিকে, স্থলযুদ্ধের জন্য রাশিয়ার রয়েছে ৫৪ হাজার ৮৬৬ যুদ্ধযান, যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ৫০ হাজার ৩২৬ টি এবং চীনের রয়েছে ৪১ হাজার ৬৪১টি যুদ্ধযান।
সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, চীনের নৌবাহিনীতে রয়েছে ৪০৬ টি, রাশিয়ার ২৭৮ এবং যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ২০২ টি যুদ্ধ জাহাজ।