অস্ট্রেলিয়ার এয়ালাইন্স কানতাসের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের অবশ্যই করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে।
এয়ালাইন্সটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালান জয়েসের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর থেকে বিশ্বজুড়ে আকাশপথে যাত্রী কমে যায় ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তাই খাতটির পুনরুদ্ধারে করোনা টিকাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
করোনার কারণে এখনও অনেক দেশের সঙ্গে আকাশপথে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। এই অবস্থায় যাত্রীদের আবার স্বাভাবিক চলাচলে টিকার বিকল্প দেখছে না দেশটির বিমান সংস্থা কানতাস।
সংস্থাটির সিইও জয়েস বলেন, বিমানে চড়ার শর্ত হিসেবে টিকা নেয়ার বিষয়ে এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, সরকার এটি না করলেও এয়ারলাইন্সগুলোর উচিত হবে তাদের নীতিমালার মধ্যেই এটা যুক্ত করা।
জয়েস বলেন, ‘যাত্রী ও ক্রুদের সুরক্ষা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আসলে এয়ারক্রাফটের সবারই সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন।’
তার মতে, যেসব টিকিট এরই মধ্যে বুকিং দেয়া হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রেও এই শর্ত দেয়া প্রয়োজন।
জয়েস মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যাত্রীদের এখন স্বেচ্ছায় এমন শর্ত মেনে নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের বেশিরভাগই মনে করছেন এটা দারুণ বিষয়। আমরা জরিপ করেছি, যেখানে ৯০ শতাংশ মনে করছেন আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যাত্রীদের টিকা দেয়া দরকার।’
তবে এই শর্তের বিরোধিতা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির ডিজিটাল হেলথ অ্যান্ড ইনোভেশন পরিচালক বার্নার্ডো মারিয়ানো বলেন, ‘ভ্রমণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টে টিকা দেয়ার বিষয় উল্লেখ থাকবে এমন শর্ত আমরা কখনোই অনুমোদন দিই না।’
তিনি জানান, বেসরকারি খাতের যেকোনো পরিবর্তনের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা দরকার।
বিশ্ব অর্থনীতির একটা বড় খাত অ্যাভিয়েশন। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে খাতটির অবদান অন্তত ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের।
কিন্তু সরকারের কড়াকড়ি ও করোনাভাইরাসের কারণে এখন খাতটি অনেকটাই অচলাবস্থায়। ২০১৯ সালে আকাশপথে অন্তত সাড়ে চার হাজার কোটি যাত্রী আসা-যাওয়া করেছে।