বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিনা বিচারে’ ৪১ বছর, অবশেষে মুক্তি

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ২১:৫৫

বুদ্ধিগত দিক থেকে অনেকটা অক্ষম দুর্গা প্রসাদকে মুক্তি দিয়ে নেপাল পাঠাতে গত বুধবার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, যাতে করে তিনি তার ৯০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

আনুষ্ঠানিক কোনো বিচার ছাড়াই ভারতের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৪১ বছর বন্দি থাকার পর ছাড়া পেয়েছেন নেপালের এক নাগরিক।

কাঠমান্ডু পোস্টে খবরে বলা হয়েছে, কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল কারেকশনাল হোম থেকে শনিবার ছাড়া পান দুর্গা প্রসাদ তিমসিনা ওরফে দীপক জয়সী। তিনি পূর্ব নেপালের ইলাম জেলার মাই মিউনিসিপালিটির বাসিন্দা।

দুর্গা প্রসাদকে গ্রহণে দুমদুম কারাগারে আগেই উপস্থিত হন তার ভাই প্রকাশ চন্দ্র।

মুক্তি পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমক দুর্গা প্রসাদ শুধু এইটুকুই বলেছেন, ‘আমি নির্দোষ।’

বুদ্ধিগত দিক থেকে অনেকটা অক্ষম দুর্গা প্রসাদকে মুক্তি দিয়ে নেপাল পাঠাতে গত বুধবার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, যাতে করে তিনি তার ৯০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, স্কুল শিক্ষক দুর্গা প্রসাদ চার দশক আগে দার্জিলিং সফর আসেন। ঘটনাচক্রে একটি হত্যা মামলায় পড়ে যান তিনি।

মামলা থেকে জানা যায়, কারও মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পেয়ে দার্জিলিংয়ে এসেছিলেন দুর্গা প্রসাদ। কিন্তু নেপালের এই নাগরিককে যে লোক এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার শর্ত ছিল চাকরি পেতে হলে একজনকে হত্যা করতে হবে।

দুর্গা প্রসাদের মামলা নং ৩১, ১৯৮১। মামলাটি করা হয়েছিল দার্জিলিংয়ের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালতে, চল্লিশ বছর পার হয়ে গেলেও এটির সুরাহা হয়নি।

দুমদুম সেন্ট্রাল জেলে থাকা একজন তার বন্ধুদের দুর্গা প্রসাদের গল্পটি বলেন। এই কাহিনী জানার পর কলকাতার এইচএএম রেডিও অপারেটররা যোগাযোগ করে নেপাল রেডিও ক্লাবের সঙ্গে।

ক্লাবটির সদস্যরা দুর্গা প্রসাদের আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে নামে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায় তার মা মানোমায়া দেবীর সন্ধান, যিনি বর্তমানে পূর্ব নেপালের লুম্বক গ্রামে বাস করছেন।

এরপর নেপাল কনস্যুলেটে যোগাযোগ করে মানুমায়া ছেলের সঙ্গে সাক্ষাতের আকুতি জানান।

দুর্গা প্রসাদের দুর্দশার কথা জানার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আইনসেবা কর্তৃপক্ষ তার মানসিক স্বাস্থ্য পর্যালোচনা করে।

এতে দেখা যায়, দুর্গা প্রসাদের আইকিউ লেভেল ১০ বছর বয়সী একজন শিশুর মতো। জানানো হয়, বিচারের মুখোমুখি হওয়ার মতো অবস্থায় নেই দুর্গা প্রসাদ। এরপর তাকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারক থোটাথিল বি রাধাকৃষ্ণ ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ।

এ বিভাগের আরো খবর