টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার দুই দিন পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
শনিবার টুইটারে এ খবর নিশ্চিত করেছেন তার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. ফয়সাল সুলতান।
পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও খবরটি নিশ্চিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার করোনাপ্রতিরোধী টিকা নিয়েছিলেন ইমরান।
জিয়ো টিভি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গ রয়েছে ইমরানের দেহে। তিনি হালকা জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন। তবে অবস্থা স্থিতিশীল। ভাইরাসের বিস্তার রোধে আপাতত সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন মহামারির তৃতীয় ঢেউয়ের সম্মুখীন, তখনই ছোঁয়াচে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলেন ইমরান।
করোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় গত এক সপ্তাহে এলাকাভিত্তিক লকডাউনসহ বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপ করে পাকিস্তান।
করোনার সংক্রমণ নিশ্চিতের পর ইমরানের বরাত দিয়ে তার কার্যালয় থেকে বলা হয়, সংক্রমণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত রেখেছে পাকিস্তান সরকার।
শুক্রবার খায়বার পাখতুনখোয়ায় মালাকান্দ ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি সমাবেশে বক্তব্যও দেন তিনি। একই দিন উদ্বোধন করেন সোয়াত মোটরওয়ে পরিদর্শন ও সোয়াত এক্সপ্রেসওয়ে টানেলস।
ইমরানের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পরপরই টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সুস্থতা কামনায় পোস্ট দেন রাজনীতিক, তারকাসহ অনেকে। কয়েক মিনিটেই দিনের টপ ট্রেন্ড হিসেবে ভাইরাল হয় হ্যাশট্যাগ ইমরান খান-সংবলিত লাখ লাখ পোস্ট।
গত এক বছরে পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সোয়া ছয় লাখ মানুষ। ভাইরাসে মৃত্যু হয় প্রায় ১৪ হাজার মানুষের।
পর্যাপ্ত শনাক্তকরণের অভাবে পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
ইমরান খানের আগেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও ফার্স্ট লেডি আসমা আসাদ, কানাডিয়ান ফার্স্ট লেডি সোফি গ্রেগরি ট্রুডোসহ বিশ্বের অনেক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠেছেন।