সৌদি আরবের একটি তেলের কারখানায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হামলার পরপরই কারখানার একটি অংশে আগুন ধরে যায়।
শুক্রবার রাজধানী রিয়াদে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগার সৌদি আরামকোর কারখানা লক্ষ্য করে ছয়টি সশস্ত্র ড্রোন ছোড়ে হুতিরা।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার সূত্র উল্লেখ করে সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে কেউ হতাহত হননি বা তেল উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি।
পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়, ড্রোন হামলায় তেলের কারখানায় আগুন লাগলেও খুব দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণেও আনা হয়েছে।
এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি সরকার। তারা বলেছে, বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্রে এ হামলা সারা পৃথিবীর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতায় বড় প্রভাব ফেলবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আরামকোর একাধিক কারখানা লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে হুতিরা। দায় স্বীকারও করেছে। ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় তারা।
হুতিদের ছোড়া বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে ধ্বংস করে দিয়েছে রিয়াদ।
গত ৭ মার্চ রাস তানুরা এলাকায় তেলের গুদাম লক্ষ্য করে হুতিদের হামলার পর ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায় রিয়াদ।
২০১৫ সালের মার্চ থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। বিমান হামলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক প্রাণহানির অভিযোগে বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিতও হয়েছে সৌদি প্রশাসন।