বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলোচনার টেবিলেই বাক্যবাণে বিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র-চীন

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ২১:৪০

বেইজিংয়ের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, চীনের প্রতি অন্যান্য দেশকে আগ্রাসী হতে উসকে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ওয়াশিংটন বলেছে, সংকটের সমাধান নয়, বরং সবার সামনে সাধু সাজার লক্ষ্য নিয়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পরস্পরকে বাক্যবাণে বিঁধলেন দেশ দুটির কূটনীতিকরা।

বৃহস্পতিবার আলাস্কায় বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন সি চিনপিং সরকারের প্রতিনিধিরা।

এতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান। চীনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি।

বিবিসি জানিয়েছে, আলোচনার টেবিলেই উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়ান দুই দেশের নেতারা।

বেইজিংয়ের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, চীনের প্রতি অন্যান্য দেশকে আগ্রাসী হতে উস্কে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন বলেছে, সংকটের সমাধান নয়, বরং সবার সামনে সাধু সাজার লক্ষ্য নিয়ে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন চীনা কর্মকর্তারা।

আলোচনার টেবিলে উত্তাপ থাকলেও রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক সরাসরি, অর্থবহ ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, দুই ঘণ্টা বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও আরও দীর্ঘ সময় মুখোমুখি কথা বলেন দুই দেশের নেতারা।

আলোচনায় অংশ নেয়ার আগে অ্যান্টনি ব্লিংকেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘উইঘুর মুসলিম, হংকং, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের অবস্থান, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা, বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা- ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করব আমরা। কারণ বিশ্বকে স্থিতিশীল রাখার পথে এ সবগুলোই বড় বাধা।’

জবাবে অন্যান্য দেশের ওপর অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন ইয়াং জিয়েচি। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সাধারণ বাণিজ্যিক লেনদেনেও বাধা তৈরি করছে ওয়াশিংটন। অন্যান্য দেশকেও এতে উসকে দিচ্ছে।’

কৃষ্ণাঙ্গদের নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্য দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলা সাজে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পাল্টা জবাবে সুলিভান বলেন, ‘চীনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু আমাদের মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন রাখতে এবং মিত্র দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সবসময় অনড় থাকব আমরা।

শেষবার ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে গত জুনে সরাসরি বৈঠক হয়েছিল চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।

এ বিভাগের আরো খবর