জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘শততম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১’ উপলক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে বুধবার দিনভর ছিল নানা আয়োজন।
এ উপলক্ষে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী রবীন্দ্র সদন অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজশেখর বসু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে সারা বিশ্ব বাঙালির প্রকৃত ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতো না। তার অসাধারণ নেতৃত্বই বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের জায়গা তৈরি করেছে।’
ড. পবিত্র সরকার বলেন, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে, তখন শেখ মুজিবই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তা রক্ষার্থে হাল ধরেন।’
অধ্যাপক ড. রাজশেখর বসু বলেন, ‘শেখ মুজিবের রাজনীতির মধ্যে বারবার এসেছে দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়। সে জন্যই তার কাছে সামাজিক ন্যায়, সামাজিক চাহিদা ও সামাজিক ক্ষমতার বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান শুভেচ্ছা বক্তৃতায় বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির এটাই ছিল মূলমন্ত্র।’
এর আগে সকালে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তৌফিক হাসান। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র জীবনের স্মৃতি বিজড়িত ইসলামিয়া কলেজের (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেলে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সন্ধ্যায় রবীন্দ্র সদনের অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিবর্ষের গান এবং কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এরপর পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী ব্রততী বন্দোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুর ওপর কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
সবশেষে নচিকেতা চক্রবর্তীর সঙ্গীতে মুগ্ধ হন দর্শকরা।