বিশ্বের দূষিততম রাজধানীর তালিকায় টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষে ভারতের নয়াদিল্লি।
আন্তর্জাতিক সংস্থা আইকিউ-এয়ার-এর ‘২০২০ ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট’ বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে রোগের প্রকোপ রোধে দীর্ঘ লকডাউন জারি থাকায় ২০২০ সালে ভারতের শহরগুলোতে দূষণ ছিল তুলনামূলক কম।
দেশটির প্রতিটি শহরে ২০১৮ সালের তুলনায় গত বছর দূষণের পরিমাণ কম থাকলেও, ২০১৯ সালের তুলনায় ৩৭ শতাংশ শহরে বেশি দূষণ রেকর্ড হয়েছে। তবে তা দূষণের বিপজ্জনক স্তরের নিচে নামতে পারেনি।
বায়ু দূষণ কম হওয়ায় ক্যান্সার, হৃদরোগসহ অন্যান্য মারাত্মক রোগও কম শনাক্ত হয়েছে।
ফলে বিশ্বে বায়ু দূষণের মানদণ্ডে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা ৩০ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ২২তম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দূষণের (পিএম ২.৫) স্তরের বার্ষিক গড় ১১ শতাংশ হ্রাস পেলেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক দূষিত বাতাসের দেশ ভারত।
সারা বিশ্বে দক্ষিণ এশিয়া সবচেয়ে দূষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্বের ৪০টি সবচেয়ে দূষিত শহরের ৩৭টিই এ অঞ্চলে। এখানকার সর্বাধিক দূষিত বাতাসের দেশগুলোতে অনেক শহর রয়েছে, যেগুলোতে বায়ু দূষণের গড় যুক্তরাষ্ট্রের মানদণ্ড অনুযায়ী ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা এর চেয়েও খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।
এরকম শহরের তালিকায় আছে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ, পাকিস্তানের ৬৭ শতাংশ এবং ভারতের ৩২ শতাংশ শহর।
এ অঞ্চলে কেবল তিনটি শহর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত বার্ষিক (পিএম ২.৫) মানদণ্ড পূরণ করতে পেরেছে। শহর তিনটি হলো শ্রীলঙ্কার দাম্বুল্লা ও দিগনা এবং ইরানের সানানদাজ।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে দিল্লির প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২.৫-এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব ছিল ৮৪.১, যা বেইজিংয়ের গড় দ্বিগুণেরও বেশি। বিশ্বের ১৪তম দূষিত শহর বেইজিংয়ে পিএম ২.৫-এর বার্ষিক গড় ৩৭.৫ ছিল।
পরিবেশ রক্ষায় যুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্রিন পিসের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া শাখার বিশ্লেষণ এবং আইকিউ-এয়ারের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সালে দিল্লিতে বায়ু দূষণের ফলে আনুমানিক ৫৫,০০০ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটেছিল।