দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যে আমেরিকাকে ঝামেলাপূর্ণ আচরণ না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধেরও হুমকি দিয়েছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো-জং এসব সতর্কবার্তা দেন বলে মঙ্গলবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই মন্ত্রীর সফরের এক দিন আগে কিম জো এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সফরের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পত্রিকা রডং সিনমুনের প্রতিবেদনে কিম ইয়ো-জংয়ের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের প্রতি একটি পরামর্শ। তা হলো, সাগরের ওপার থেকে আমাদের দেশে বারুদের গন্ধ ছড়াতে সংগ্রাম করছে দেশটি।
‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আগামী চার বছর শান্তিতে ঘুমাতে চায়, তাহলে শুরুতেই তাকে কোনো ধরনের ঝামেলাপূর্ণ বা অপ্রীতিকর কিছু করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার সমালোচনা করেন কিমের বোন। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আরও একবার যুদ্ধ আর সংকটের পথকে বেছে নিচ্ছে।’
এর আগে দেশ দুইটির যৌথ মহড়াকে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে উল্লেখ করেছিল উত্তর কোরিয়া।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অংশীদারত্ব শক্তিশালী করতে মঙ্গলবার জাপানে পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। পরের দিন বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে যাওয়ার কথা তাদের।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সংক্রান্ত উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা ওই দুই দেশ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে তার প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি পর্যালোচনা করেছেন, যা সামনের মাসে প্রকাশ হবে।
নির্বাচনি প্রচারের সময় কিম জং-উনকে ‘দুর্বৃত্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন বাইডেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আগেই দেশটিকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাতে সক্ষম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের আরও অবনমন হয়।