একাত্তরে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম দেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে ভারতের তিন বাহিনী। সেই বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে পুরো ভারত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ১৬ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে ‘স্বর্নীম বিজয় মশালের’ যাত্রার উদ্বোধন করেন। ভারতের সেন্ট্রাল কমান্ডের হাত ঘুরে ১০ মার্চ সেই মশাল আসে কলকাতায়।
সোমবার কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আনা হয় স্বর্নীম বিজয় মশাল। ভারতীয় বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর বিশেষ কনভয় মশাল নিয়ে সামরিক শোভাযাত্রা করে।
সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সত্যম রায়চৌধুরী মশালটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন। তারপর সেটি প্রদর্শিত হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। প্রদর্শিত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তৈরি একটি তথ্যচিত্র। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে মেজর সঞ্জীব সিং বলেন, ‘গোটা দেশেই এই স্বর্নীম বিজয় মশাল নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে।’
আচার্য সত্যম ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জনগণকে শুভেচ্ছা জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে তাঁর প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী ও ভারতীয় সেনা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে।
চলতি বছর ১৬ ডিসেম্বর মশালটি পৌঁছাবে দিল্লি। ১৯ মার্চ পর্যন্ত স্বর্নীম মশাল থাকবে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তরে।