পাকিস্তানের লাহোর শহরে একটি বিয়ের ফটোশুটের সময় ‘ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো’ সিংহশাবককে প্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
জিয়ো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লাহোরভিত্তিক ফটোগ্রাফি স্টুডিও ‘আফজল’ তাদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিয়ের ছবিগুলো পোস্ট করে।
স্টোরিতে দেখা যায়, বর-কনে পরস্পরের হাত ধরে ছবির পোজ দিচ্ছেন। তাদের হাতের নিচে সিংহশাবকটি শুয়ে আছে। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, বর-কনের চেয়ে একটু দূরে ওই শাবক শুয়ে আছে।
প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন জেএফকে অ্যানিমেল রেসকিউ অ্যান্ড শেল্টার বিষয়টি নিয়ে ইনস্টাগ্রামে প্রথম সরব হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো সিংহশাবককে বিয়ের ফটোগ্রাফিতে প্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে খাঁচায় বন্দি ময়ূর ও বিদেশি পাখি বিয়ের প্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এখন সিংহশাবক।
সংগঠনটির ভাষ্য, মায়ের কাছ থেকে চুরি করে এবং পরে বিক্রি করে এসব প্রাণীদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
এটা ধনীদের প্রাচুর্য দেখানোর নয়া পন্থা কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
পাকিস্তানের বণ্যপ্রাণী রক্ষায় কাজ করা সংগঠন ‘সেইভ দ্য ওয়াইল্ড’ টুইটারে জেএফকের ইনস্টাগ্রামের পোস্টটি শেয়ার করে। সেখানে পাঞ্জাবের বন্যপ্রাণী ও পার্ক অধিদপ্তরকে ট্যাগ করে শাবকটিকে উদ্ধারের আহ্বান জানানো হয়।
টুইটটিতে বলা হয়, ‘সিংহশাবককে ভাড়া করে অনুষ্ঠানে ব্যবহার করার অনুমতি কি পাঞ্জাব বন্যপ্রাণী ও পার্ক অধিদপ্তর দেয়? দেখুন, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কীভাবে সিংহশাবককে প্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। স্টুডিওটি লাহোরে এবং সেখানেই শাবকটিকে রাখা হয়েছে। দয়া করে তাকে উদ্ধার করুন।’
শাবকটির সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহারের জন্য লাহোরের ওই স্টুডিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলছেন।