মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চির দলের এক রাজনীতিক বিপ্লবের ডাক দেয়ার পরই দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন ।
রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এদিন শহরের হ্লাইং থারইয়ার এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণে প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটে। চীনা পণ্যের জন্য এলাকাটির বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। ব্যাপক প্রাণহানির পর সেখানে সামরিক আইন জারি করেছে সেনাবাহিনী।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক ভাষণে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক দেন সু চির দলের নেতা মাহন উইন খাইং থান।
আত্মগোপনে থেকে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আইনপ্রণেতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
ভাষণে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নানা সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে স্বৈরশাসকের নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন। তবে চলমান বিপ্লব আমাদের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটাতে পারে। এর জন্য আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
এর আগে শনিবারের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১২ আন্দোলনকারী নিহত হন বলে জানিয়েছে বিবিসি বার্মিজ।
দেড় মাসের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ করছেন গণতন্ত্রপন্থী মানুষ। তাদের অভিযোগ, মিয়ানমারে সেনাশাসনে মদদ যোগাচ্ছে চীন।