হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফর বাতিল হলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল তার। গত সপ্তাহে এক কূটনৈতিক বিরোধের জেরে তাকে বহনকারী বিমানের প্রবেশ সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয় জর্ডানে।
এ অবস্থায় জর্ডানের আকাশসীমা এড়িয়ে, আরও দক্ষিণে গিয়ে সৌদি আরবের আকাশসীমা হয়ে আরব আমিরাতে যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের হামলার আশঙ্কায় পরিহার করতে বাধ্য হন সে পথও।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রসঙ্গ টেনে ইসরায়েলের চ্যানেল থার্টিনকে শনিবার তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে সৌদি আরবের আকাশসীমাতেও কিছু সমস্যা চলছিল।’
অবশ্য আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান সমর্থিত হুতিদের লক্ষ্য নেতানিয়াহুর বিমান ছিল কিনা, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানা এবং দেশের উত্তরাঞ্চলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে হুতিরা। এখন সৌদি আরবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে সীমান্তের ওপার থেকে দফায় দফায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে গোষ্ঠীটি।
বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র রিয়াদ ধ্বংস করে দিলেও, গত সপ্তাহে সৌদি আরবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল পরিশোধনাগারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে হামলা চালাতে সক্ষম হয় হুতিরা। এতে জেদ্দায় আন্তর্জাতিক বিমান পথে ফ্লাইট চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।
ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর দুবাইয়ে প্রথম সফরের কথা ছিল নেতানিয়াহুর। ২৩ মার্চ দেশটির সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে জনসমর্থন বাড়াতে আরব আমিরাতের যুবরাজের সঙ্গে তার বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছেন অনেকে।
এর আগে জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শনের কথা ছিল জর্ডানের যুবরাজের। কিন্তু নিরাপত্তা জটিলতায় সে সফর বাতিল হওয়ার জেরে নেতানিয়াহুর বিমান নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকতে দেয়নি আম্মান।