বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর প্রেমের প্রস্তাব; বহিষ্কারে সমালোচনার ঝড়

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ১৯:২৬

দুই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল, এক সময়ের প্রখ্যাত ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী ও সমাজকর্মী শানিয়েরা আকরামসহ পাকিস্তানের তারকা-মহারথীরা।

রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সবার সামনে উচ্চ কণ্ঠে সহপাঠীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। এতেই তোপের মুখে পড়েন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে দুজনকেই।

ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রী তার সহপাঠীকে হাঁটু গেড়ে বসে, হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করে তাকে জড়িয়েও ধরেন ছাত্রটি।

পুরো ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে টুইটারে ছাড়েন বন্ধুরা। এতেই বাধে বিপত্তি। কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন তারা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে প্রেমিক যুগলকে।

দ্য নিউজ পত্রিকার খবর বলছে, এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সুশীল সমাজ। টুইটারেই চলছে সমালোচনার ঝড়। দুই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল, এক সময়ের প্রখ্যাত ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী ও সমাজকর্মী শানিয়েরা আকরামসহ পাকিস্তানের তারকা-মহারথীরা।

শানিয়েরা আকরাম বলেন, ‘কদিন আগেই আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছি আমরা। আর আজ দেশের শীর্ষ এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক নারী শিক্ষার্থীকে কেবল আত্মবিশ্বাসী বলে বহিষ্কৃত হতে হলো। সমাজের চিরাচরিত নিয়মের বাইরে গিয়ে নারী হয়ে পুরুষকে বিয়ের কথা বলাটাই তার অপরাধ হয়েছে। অথচ আমরাই আবার নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলি!’

সমাজের হর্তাকর্তাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ঠিক কী ধরনের উদাহরণ তৈরি করছি আমরা? আমাদের তারকা, খেলোয়াড়রা যখন প্রকাশ্যে পছন্দের মানুষকে মনের কথা জানান, চুটিয়ে প্রেম করে বেড়ান, তখন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু সাধারণ তরুণ-তরুণীরা এমন কিছু করলেই দোষ?’

অন্যদিকে শাহবাজ গিল বলেন, ‘তাদের বয়স কম। জীবনের অনেক কুৎসিত রূপ তারা দেখেননি। হয়তো জড়িয়ে না ধরলেই ভালো হতো, যেহেতু এটা আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু তাই বলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একেবারে বের করে দেয়া কোনো সমাধানই হতে পারে না। ছোটখাট শাস্তি দিয়েই ছেড়ে দেয়া যেতো। শিক্ষা তো মানুষের মৌলিক অধিকার।’

গত শুক্রবার দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। এতে শিক্ষার্থী দুজনের বিরুদ্ধে ‘নোংরা আচরণ’ ও ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম লঙ্ঘনের’ অভিযোগ আনা হয়। বলা হয়, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে কমিটি তাদের ডেকে পাঠালেও উপস্থিত হননি তারা।

এ বিভাগের আরো খবর