মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ এক রাজনীতিক।
অভ্যুত্থানের পর জনগণের উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে মাহন উইন খাইং থান এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতি একটা অন্ধকার সময় পার করছে। তবে ভোর খুব কাছে।’
আত্মগোপনে থেকে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী আইনপ্রণেতাদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন উইন খাইং থান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের এখনই সময়, অন্ধকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার।
‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নানা সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরশাসকের নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন। তবে চলমান বিপ্লব আমাদের সেই অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটাতে পারে। এর জন্য আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরোনো সব বৈরিতা ভুলে এই স্বৈরশাসন অবসানের খাতিরে আমাদের এক হতে হবে।’
আত্মগোপনে থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন উইন খাইং থান। ছবি: এএফপি
অভ্যুত্থানে যেসব রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তার হননি তাদের নিয়ে গঠন হয়েছে একটি কমিটি যা সিআরপিএইচ নামে পরিচিত। এই কমিটি আত্মগোপনে থেকে নির্বাচিত সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সিআরপিএইচকে অবৈধ বলে দাবি করে আসছে। তারা হুঁশিয়ার করছে, যে বা যারা এই দলের সঙ্গে হাত মেলাবে, তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।
হতাহত বাড়ছে
মিয়ানমারে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে নিয়মিতই চড়াও হচ্ছেন নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবারের বিক্ষোভে কমপক্ষে ১২ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে বিবিসি বার্মিজ।
দেড় মাসের বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
১ ফেব্রুয়ারি সেনা-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ তার রাজনৈতিক দল এনএলডির শীর্ষ নেতাদের।
গত বছরের নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশলান লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি বড় জয় পায়। তবে সেনাবাহিনীর দাবি, নির্বাচনে কারসাজি হয়েছে।