ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে হামলার মুখে পড়েছে ‘শাহরে কর্দ’ নামে ইরানের একটি কন্টেইনার জাহাজ। এতে জাহাজটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত শিপিং কোম্পানি স্থানীয় সময় শুক্রবার বিষয়টি জানায় বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিপিং কোম্পানির মুখপাত্র আলি ঘিয়াসিয়ান বলেন, বুধবার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য শাহরে কর্দকে আঘাত করে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে জাহাজটির সামান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জলদস্যুতার শামিল। এটি বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি মেরামতের পর ফের ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হবে বলেও জানান ঘিয়াসিয়ান।
সমুদ্র নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট দুইটি সূত্র জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে ইরানের কন্টেইনার জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ হামলায় কারা জড়িত, তা জানা যায়নি।
দুই সপ্তাহ আগে ওমান সাগরে এমভি হেলিওস রে নামে ইসরায়েলের একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ওই হামলার কারণ সম্পর্কে সে সময় কিছু জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সে সময় বলেছিলেন, বিস্ফোরণে জাহাজটির দুই পাশেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে ইসরায়েল। যদিও ইরান সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে ইরানের শাহরে কর্দ জাহাজে হামলায় ইসরায়েল জড়িত কি না, এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি ইসরায়েলের কর্মকর্তারা।