বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয় যুক্তরাষ্ট্রের

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২১ ১১:২৫

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত মিয়ানমারের প্রায় ১ হাজার ৬০০ নাগরিকের ওপর কার্যকর হবে এ নীতিমালা। এদের মধ্যে আছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা দেশটির কূটনীতিকরাও।

মিয়ানমারের অভিবাসনপ্রত্যাশীসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাময়িক আশ্রয় পাওয়ার পাশাপাশি কাজের অনুমতিও পাবেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকরা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের ঘোষণায় বলা হয়, অভিবাসীদের মধ্যে যাদের নিজ দেশে ফেরা এ মুহূর্তে নিরাপদ হবে না, তাদের জন্য সাময়িক সুরক্ষা কর্মসূচি (টিপিএস) হাতে নিয়েছে ওয়াশিংটন।

এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সশস্ত্র সংঘাতে জর্জরিত দেশগুলোর নাগরিকরা নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ পাবেন। সময় শেষে প্রয়োজনে আবারও মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়া যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে টিপিএস কর্মসূচির সুবিধা পাবেন মিয়ানমারের নাগরিকরা। ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়ন অব্যাহত থাকায় দেশটির নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে এ পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের।

তবে ১১ মার্চের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, শুধু তারাই এ পদক্ষেপের আওতায় আসবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমারের প্রায় ১ হাজার ৬০০ নাগরিকের ওপর কার্যকর হবে এ নীতিমালা। এদের মধ্যে আছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা দেশটির কূটনীতিকরাও। টিপিএসের আওতায় ১৮ মাস সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বলেন, ‘সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তাতে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে চরম অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

গণতান্ত্রিক সরকারকে গদিচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতার দখল নেয়ার পর থেকেই গণতন্ত্রপন্থিদের বিক্ষোভে প্রায় অচল মিয়ানমার। আন্দোলন দমনে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হওয়া, ব্যাপক ধরপাকড়, নির্বিচারে গুলি চালানোসহ নানাভাবে শক্তি প্রয়োগ করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

দুই দিন আগেই জাতিসংঘে মিয়ানমারবিষয়ক মানবাধিকার কর্মকর্তা থমাস অ্যান্ড্রুজ জানান, নিরাপত্তা বাহিনী এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যা এবং দু্ই হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে।

চলমান পরিস্থিতিতে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মিয়ানমারের বেশ কিছু কূটনীতিক; যাদের অন্যতম জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির স্থায়ী প্রতিনিধি কিয়াও মোয়ে তুন।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

সামরিক অভ্যুত্থান ও চলমান বিক্ষোভে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে বেশ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।

চলতি সপ্তাহেই মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের দুই সন্তান ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, যা কার্যকরও হয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় দুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার ইকোনমিক করপোরেশন ও মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মিয়ানমারের অর্থনীতির প্রায় পুরোটাই এই দুই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে শুক্রবার কোয়াড (চতুর্ভুজ) হিসেবে পরিচিত জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা।

এ বিভাগের আরো খবর