বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নিরীহ মানুষদের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য করছিল’

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২১ ১২:২৩

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচার গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

জান্তা সরকারের আদেশ অমান্য করে মিয়ানমার ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

তাদের দাবি, বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ এড়াতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পুলিশ সদস্য নাইং (নিরাপত্তার খাতিরে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) ৯ বছর ধরে এই পেশায় আছেন। ২৭ বছরের ওই পুলিশ সদস্য বর্তমানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে আছেন।

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার নির্দেশ না মেনে বাড়িতে চলে আসি। আমার মতো আরও কিছু পুলিশ গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।

‘আমি খুবই ভয় পাচ্ছিলাম। ওরা আমাদের বাধ্য করছিল নিরীহ মানুষদের ওপর গুলি চালাতে।’

তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিক্ষোভে নামে সাধারণ মানুষ। তাদের গুলি করতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দুইবার নির্দেশ দিলেও অমান্য করেন তিনি।

‘আমার বসকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমি গুলি করতে পারব না।’

মিয়ানামারের সেনাবাহিনী বর্বর উল্লেখ করে নাইং জানান, দেশে তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তান রয়েছে। সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় মোবাইল ফোনে তাদের ছবি দেখিয়ে নাইং বলেন, ‘আমার এক মেয়ের বয়স পাঁচ, অন্যটির ছয় বছর। জানি না আর কখনো তাদের সঙ্গে দেখা হবে কি না।’

আরেক পুলিশ সদস্য হতুত (নিরাপত্তার খাতিরে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে) জানান, অভ্যুত্থানের পর রাস্তায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে পুলিশও টহল দিচ্ছিল। বিক্ষুব্ধরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল।

‘সেনা কর্মকর্তারা রাস্তায় পাঁচজনের বেশি মানুষকে একসঙ্গে দেখলে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আমি জানতাম ওদের গুলি করা হবে। রাতে এক ফোটা ঘুমাতে পারিনি।’

হতুত আরও বলেন, ‘যখন দেখলাম নিরীহ মানুষের রক্তাক্ত দেহ রাস্তায় পড়ে আছে, তখন পালানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না আমার। মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে ভারত সীমান্তে চলে আসি।’

২৪ বছরের নারী পুলিশ সদস্য গ্রেস জানান, পালাতে বাধ্য করা হয়েছে তাদের।

‘আমরা পুলিশের চাকরি ভালোবাসি। কিন্তু এখন সবকিছু পাল্টে গেছে। চাকরি আর করতে পারছি না।’

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত নেতা অং সান সু চিসহ বেসামরিক সরকারের শীর্ষ নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক জান্তা সরকারের হাতে অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হন। এসব উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন।

এ বিভাগের আরো খবর