মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির মুক্তি দাবি ও সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে জান্তা সরকার।
রাষ্ট্রদূত কেয়াও জোয়ার মিন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিয়ানমার ‘বিভক্ত’ হয়ে পড়েছে এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে।
‘আমি মিয়ানমারের নাগরিকদের মরতে দেখতে চাই না। আমি সব পক্ষকে (প্রতিবাদকারী ও সামরিক বাহিনী) শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছি। এরই মধ্যে অনেকে বিভক্ত হয়ে পড়েছে এবং সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি শান্তি চাই।’
এ সময় জোয়ার মিন ক্ষমতাচ্যুত নেতা সু চির মুক্তির দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘সু চিই আমাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন, আমি তার আদেশই শুনব। আমি তার ও প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি। এ সংকটের সমাধান নিউইয়র্ক বা লন্ডনে নেই, সমাধান আছে নেপিদোতে।’
২০১৩ সাল থেকে লন্ডনে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করা এই দূত জানান, পক্ষত্যাগ বা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা নেই তার। যুক্তরাজ্যে অবস্থিত দূতাবাসের সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
মিয়ানমার সরকার পরে এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানায়।
কয়েক দিন আগে ওয়াশিংটনে মিয়ানমারের দূতাবাসও এক বিবৃতিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল।