বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাগরের প্রবালপ্রাচীরে ফেস মাস্ক!

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২১ ১৬:৫৬

লকডাউনের পর সমুদ্রে দূষণ করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও বেশি। কারণ প্লাস্টিকসহ অন্যান্য আবর্জনার সঙ্গে সামুদ্রিক বর্জ্যের তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে পিপিই।

করোনাভাইরাস মহামারির এ সময়ে সামুদ্রিক বর্জ্যের মধ্যে মিলছে বিশেষ সুরক্ষা পোশাকের (পিপিই) বিভিন্ন অংশ। একবার ব্যবহারযোগ্য ফেস মাস্কে ভরে গেছে ফিলিপাইনে গভীর সাগরের তলদেশের একটি প্রবালপ্রাচীর।

বিবিসি জানিয়েছে, রাজধানী ম্যানিলার কাছেই অবস্থিত ওই প্রবালপ্রাচীরটি। সাগরে ভাসতে ভাসতে ফেস মাস্কগুলো প্রবালপ্রাচীরে আটকে গেছে। এভাবে রীতিমতো মাস্কের আবরণে ঢেকে গেছে সেটি।

এ অবস্থায় প্রাচীরটি প্রথম আবিষ্কার করে একদল ফিলিপিনো ডুবুরি। এমনই দুজন পেশাদার ডুবুরি বাতাঙ্গাস প্রদেশের অ্যানিলাও এলাকার শালা ও অলিভার।

তারা জানান, নজরকাড়া প্রবালের জন্য সাগরের কাবান কোভ নামের একটি এলাকা ডাইভিং সাইট হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। রঙিন প্রবালের পাশাপাশি সেখানে কচ্ছপসহ নানারকম রং-বেরঙের সামুদ্রিক প্রাণীর দেখা মেলে।

লকডাউনের পর সম্প্রতি সেখানে যান ডুবুরিরা। সেখানে তারা দেখতে পান, সমুদ্রে দূষণ এখন করোনা-পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও বেশি। কারণ প্লাস্টিকসহ অন্যান্য আবর্জনার সঙ্গে সামুদ্রিক বর্জ্যের তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে পিপিই।

মাত্র ১০ মিনিটের ডাইভে এক জায়গাতেই ১০/১২টি ফেস মাস্ক ভাসতে দেখেন তারা। বেশ কিছু মাস্কে শ্যাওলা জমে যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো সাগরে ভাসছে কয়েক মাস ধরে। এসবের প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ধারণ করে এনেছে ডুবুরিদের দলটি।

পরে সংগ্রহ করে আনা ময়লার মধ্যে অসংখ্য মাস্ক ছাড়াও মিলেছে প্লাস্টিকের ফেস শিল্ড, তারপুলিন ইত্যাদি। বলা হচ্ছে, সাগরে ভাসছে বিপুল পরিমাণ এসব বর্জ্য।

ফিলিপাইনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তেমন ভালো অবকাঠামো না থাকায় এসব এখন যাবে ময়লার ভাগাড়ে। ডুবুরিদের শঙ্কা, সেখান থেকে আবারও সাগরেই ঠাঁই হবে এসব বর্জ্যের।

সার্জিক্যাল ফেস মাস্কে থাকা পলিমার সাগরের পানির সাথে মিশে যাওয়ায় এই দূষণের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত গবেষকরা।

পলিমার ভেঙে মাইক্রোপ্লাস্টিকে পরিণত হয়, যা সহজেই মাছসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর খাদ্যে পরিণত হয়। এই প্রাণীগুলো আবার প্রবালপ্রাচীরে আশ্রয় নেয় বলে প্রবালের জন্যও এগুলো ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।

দেশ-বিদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক পর্যটক অ্যানিলাওয়ে যান ডাইভিং করতে। বর্জ্য দেখার পাশাপাশি সামুদ্রিক খাবারের মধ্যে এসব প্লাস্টিক নিশ্চয় দেখতে চাইবেন না তারা। ফলে অদূর ভবিষ্যতে অঞ্চলটির পর্যটন ব্যবসায় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে পিপিই বর্জ্য।

তাই একবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক পরলে তা সঠিকভাবে অপসারণের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। তবে এর বদলে ধোয়া যায় এবং বারবার পরা যায়, এমন মাস্ক ব্যবহারের তাগিদ তাদের।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে শহরটিতে প্রতিদিন ২৮০ টন অতিরিক্ত বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা বর্জ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ফিলিপাইন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী গোষ্ঠী।

এ বিভাগের আরো খবর