মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সারা রাত অবরুদ্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী।
ইয়াঙ্গুনের বাইরের জেলা থেকে আন্দোলনে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের খোঁজে সোমবার রাতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালায় পুলিশ।
ওই অভিযানে কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ফেসবুকে জানায় স্থানীয় বাসিন্দা ও একাধিক সংবাদমাধ্যম।
পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে ইয়াঙ্গুনের সাংচাউং এলাকায় একদল তরুণকে ঘিরে রাখে নিরাপত্তা বাহিনী। ওই সময় সেখান থেকে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া যায়।
অ্যাকটিভিস্ট মং সংখা টুইটবার্তায় বলেন, সাংচাউং এলাকা থেকে পালাতে পেরেছেন তিনি। তবে প্রায় ২০০ তরুণ বিক্ষোভকারীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
ইয়াঙ্গুনে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে কারফিউ অমান্য করে বিপুলসংখ্যক মানুষ রাস্তায় নামে। ওই সময় তারা ‘সাংচাউংয়ে শিক্ষার্থীদের মুক্ত করো’ স্লোগান দেয়।
মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের একজন বিবিসিকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাংচাউং থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ভোরের দিকে নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতভর ৪০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে রাতে অনেকেই লুকিয়ে ছিল।
আরেক বিক্ষোভকারী টুইটবার্তায় বলেন, সারা রাত সাংচাউং এলাকায় লুকিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন তিনি। তার সঙ্গে লুকিয়ে থাকা বাকি বিক্ষোভকারীরাও নিরাপদে আছেন।
এদিকে সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, অবরুদ্ধদের বেশির ভাগই নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তারা পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন।
অবরুদ্ধ তরুণদের নিরাপদে মুক্তি দিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান গুতেরেস। এ সময় সেনাদের সর্বোচ্চ সংযমী হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
সামরিক সরকারের পতন ও নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫৪ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।