মধ্য আফ্রিকার দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনির একটি সেনাছাউনিতে পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ছয় শতাধিক মানুষ।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিভিজিইর বরাতে দ্য গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট তোদোরো অবিয়াং নগুয়েমা এমবাসোগো বলেন, রোববার বিকেল ৪টার দিকে বাটা শহরের মনডং নকুয়ানতোমা এলাকার সেনাছাউনিতে বিস্ফোরণ হয়। ডিনামাইট নিয়ে গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দেশের বৃহত্তম শহরটির প্রায় সব ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাছাউনির অস্ত্রভান্ডারে আগুন ধরায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গোলাবারুদে বিস্ফোরণ হয়। প্রাথমিকভাবে ২০ জন নিহত ও ৬০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, সেনাছাউনিতে কমপক্ষে পাঁচটি বিস্ফোরণ হয়েছে।
টিভিজিইতে দেখা যায়, বিস্ফোরণস্থল থেকে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। সেখান থেকে মানুষজন পালাচ্ছে। তাদের একজন বলছেন, ‘কী হয়েছে, জানি না। তবে সব ধ্বংস হয়ে গেছে।’
ফ্লোরেনতিনো নামের এক চিকিৎসক বলেন, আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা এত বেশি যে হাসপাতাল উপচে পড়েছে। একটি স্পোর্টস সেন্টারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছিল। সেখানে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের পাঠানো হবে।
রেডিও মাকুতো টুইটবার্তায় জানিয়েছে, বিস্ফোরণে সৃষ্ট ধোঁয়া ক্ষতিকর হতে পারে বিবেচনায় বিস্ফোরণস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে শহরের বাইরে স্থানীয়দের সরানো হচ্ছে।
৭৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট অবিয়াং নগুয়েমা প্রায় ৪২ বছর ধরে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি শাসন করছেন। দেশটির বিরোধী দল ও আন্তর্জাতিক সংস্থা তার বিরুদ্ধে প্রায়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে।