বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইএসের গুঁড়িয়ে দেয়া গির্জায় যাবেন পোপ

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩০

গির্জা পরিদর্শন শেষে একটি স্টেডিয়ামে ধর্মীয় সভায় অংশ নেবেন পোপ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম হবে এতে।

ইরাকের উত্তরাঞ্চল সফর করছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। সফরের তৃতীয় দিনে ইরবিলে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে ধ্বংস হওয়া গির্জাগুলো পরিদর্শন করবেন তিনি।

বিকেলে একটি স্টেডিয়ামে ধর্মীয় সভায় অংশ নেবেন পোপ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার মানুষের সমাগম হবে এতে।

পরে মসুল শহরের গির্জাগুলো পরিদর্শন করবেন পোপ। তিনি আইএসের হাতে নিহত ব্যক্তিদের জন্য একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চল দখলে নিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় আইএস। ঐতিহাসিক বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট চালায় তারা। ২০১৭ সালে আইএস পরাজিত হলে শহরে ফিরতে শুরু করে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন।

শুক্রবার চার দিনের সফরে ইরাক আসেন পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার নাজাফ শহরে তিনি সাক্ষাৎ করেন শিয়া ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল সিসতানির সঙ্গে।

পোপের সফর ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ইরাক সরকার। মোতায়েন হয়েছে ১০ হাজার সেনাসদস্য। নিরাপত্তা উদ্বেগ ও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়ার কারণে পোপের কর্মসূচি ও জনসাধারণের সঙ্গে তার সাক্ষাতের সুযোগ খুবই সীমিত রাখা হয়েছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে ইরাক সফরের পরিকল্পনা করেও শেষ পর্যন্ত বাতিল করেছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।

বিশ্বের আদি খ্রিষ্টানদের বাস ইরাকে। দেশটিতে গত দুই দশকে তাদের সংখ্যা ১৪ লাখ থেকে আড়াই লাখে নেমে আসে।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পরই ধর্মীয় সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে দেশটির লাখ লাখ খ্রিষ্টান দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

এ ছাড়া ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তরাঞ্চল আইএস দখলে নেয়ার পর বাস্তুচ্যুত হয় দেশটির হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।

এ বিভাগের আরো খবর