অঞ্চলটিতে উদ্ভাবন হয়েছিল চাকা। হাম্মুরাবির আইনের বিকাশও হয়েছিল। জ্বালানির উৎস হিসেবে প্রথমবারের মতো তেল পোড়ানো হয় সেখান থেকেই।
বর্তমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে দি কার প্রদেশের এ শহরটির নাম উর, যা ‘সভ্যতার আঁতুড়ঘর’ হিসেবে পরিচিত জায়গাগুলোর একটি। সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে ইরাকে তিন দিনের সফররত পোপ ফ্রান্সিসের।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরাকের রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নাজাফ, এরবিল, মসুল ও বাগদাদে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো দেখা শেষে পোপ যাবেন উরে। শনিবার সেখানে তার আয়োজনে আন্তধর্মীয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে।
ছয় হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে বিশ্বের শুরুর দিককার নগর কেন্দ্রগুলোর একটি হিসেবে বিকাশ হয় উরের। কয়েক শতাব্দী পর অঞ্চলটি তৎকালীন বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। সেখানকার কারখানাগুলোতে তৈরি কার্পেট ও পশমের কাপড় তৎকালীন মেসোপটোমিয়াসহ বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হতো।
প্রাচীনকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয় উর বা তাল আল-মুকায়ের নামের এলাকাটিকে। ২০১৬ সালে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয় উরকে।