বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে কার্যকর ব্যবস্থা চায় জাতিসংঘ

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ১২:১০

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্থাটির বিশেষ দূত বলেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে সেনাবাহিনীকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

মিয়ানমারে সেনাদের নৃশংসতা বন্ধ ও গণতন্ত্র ফেরাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাগিদ দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত সংস্থাটির বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শর্নার বুর্গেন।

মান্দালায় ২৬ বছরের যুবককে গুলি করে হত্যা এবং মাগওয়ে অঞ্চলে সু চির দল এনএলডির এক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর এ তাগিদ দেন জাতিসংঘের দূত।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা বন্ধে যৌথ উদ্যোগ চেয়েছেন ক্রিস্টিন শর্নার। তিনি জানান, বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে মিয়ানমার।

তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচনের ফল মেনে নিতে সেনাবাহিনীকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানালেও নিন্দা প্রস্তাব পাস করাতে পারেনি চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে।

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালায় শুক্রবার অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নামেন কয়েক শ প্রকৌশলী। ক্ষমতাচ্যুত স্টেট কাউন্সিলর সু চির মুক্তির দাবিতে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে শহর।

এদিন বিক্ষোভরত ২৬ বছরের এক যুবকের গলায় সরাসরি গুলি চালায় পুলিশ। চিকিৎসকের বরাতে এ খবর নিশ্চিত করে বার্তা সংস্থা এএফপি।

মধ্য মাগওয়ে অঞ্চলে ছোরা হামলা হয় সু চির দল এনএলডির রাজনীতিক ও তার এক আত্মীয়ের ওপর। ১৭ বছরের ওই আত্মীয় বেঁচে গেলেও মারা যান ওই রাজনীতিক।

আরও পড়ুন: অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন দেখল মিয়ানমার

দক্ষিণের শহর দাওয়িতে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভ হয়েছে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন, পাথেইন ও মধ্য মইঙ্গিয়ান শহরে।

২৭ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী এএফপিকে বলেন, ‘বিক্ষোভের সামনে থাকতে ভয় পাচ্ছি। তবে নেতাদের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। একে অন্যকে বাঁচাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।’

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে আন্দোলনকারীদের টিকটকের মাধ্যমে মৃত্যুর হুমকি

দক্ষিণ-পূর্বের কারেন রাজ্যে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কয়েক হাজার মানুষ। সমাবেশের নেতৃত্ব দেয় আদিবাসীদের সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে আসছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে কেএনইউ বলেছে, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর হামলা সহ্য করা হবে না। সেনা স্বৈরশাসনের পতন ঘটাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা, সশস্ত্র আদিবাসী সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর