বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সু চির দূতই থাকছেন জাতিসংঘে

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২১ ২২:০৭

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্তেফানে দুজাররিচ জানান, মিয়ানমার মিশনের পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তিন মং নাইং পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন কিয়াও মোয়ে তুনই। 

জাতিসংঘে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তিন মং নাইং পদত্যাগ করেছেন। পদটিতে বহাল থাকছেন তার পূর্বসূরী ও অং সান সু চি সরকারের নিয়োগ করা কিয়াও মোয়ে তুন।

শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্তেফানে দুজাররিচ জানান, মিয়ানমার মিশনের পাঠানো একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে তিন মং নাইং পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘে মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন কিয়াও মোয়ে তুনই।

শুক্রবার সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে মিয়ানমারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান কিয়াও মোয়ে তুন। পরদিনই তাকে বহিষ্কার করে স্থায়ী প্রতিনিধির সহকারী তিন মং নাইংকে তার পদে নিয়োগ করে দেশটির সেনাবাহিনী।

সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠিতে কিয়াও মোয়ে তুন জানান, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান এবং অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পুরো প্রক্রিয়াটিই অবৈধ। এ কারণে তাকে বহিষ্কারের অধিকার নেই সেনাবাহিনীর। মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধির পদে বহাল থাকতে জাতিসংঘের সমর্থনও চান তিনি।

পরদিনই তাকে বহিষ্কৃত দাবি করে জাতিসংঘকে চিঠি দেয় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

দুটি পরস্পরবিরোধী চিঠি পেয়ে পরিস্থিতির জটিলতা বিবেচনায় নিজস্ব নিয়মকানুন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন দুজাররিচ। পরে এ বিষয়ে সাধারণ পরিষদে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, ভোট হলে তার ফল হতো সুদূরপ্রসারী। আদতে তাতে মিয়ানমারে সেনাশাসনের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির বিষয়টিই উঠে আসত। এ জন্য মঙ্গলবার থেকেই জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কিয়াও মোয়ে তুন। প্রত্যেকের সমর্থনও আদায় করেছেন তিনি।

এদিকে, শুক্রবারও সেনাশাসনের বিরুদ্ধে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এদিনও প্রাণ গেছে কমপক্ষে এক জনের। এ নিয়ে দেশটিতে সহিংসতায় প্রায় ৪০ জন নিহত হলেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাশেলে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে অংশ নেয়া জনতার ওপর কঠোর নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভ দমনে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। ২৯ জন সংবাদকর্মীসহ এ পর্যন্ত আটক হয়েছেন ১ হাজার ৭০০ এর বেশি মানুষ।

এদিন দেশজুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর জানিয়েছে এএফপি। ইয়াঙ্গুনে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর ভাইরাল হয় ফেসবুক-টুইটারে। পরে কারিগরী ত্রুটির কারণে সারা দেশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানায় ইয়াঙ্গুন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই করপোরেশন। সংযোগ পুনরায় চালু হয় বিকাল ৪টার দিকে।

এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর ফেসবুক-টুইটারের পর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। সরিয়ে দিয়েছে এমআরটিভিসহ দেশটির সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের পাঁচটি চ্যানেল।

এ বিভাগের আরো খবর